জনগণের দফারফা (আর-৪০)
       --জগদীশ চন্দ্র মণ্ডল


নেতা হলেই পকেট গরম
হাতে আসে বদ শক্তি,
যায় গুলিয়ে মাথা, দেখলে
জনগণের সদ্ ভক্তি।


নিত্য-নতুন কৌশলে তাই
রোজ দিয়ে যায় খুব ধোঁকা,
সহজ-সরল আমজনতা
হচ্ছে নিতি চুপ বোকা।


ময়ূর পুচ্ছ  লাগালে কি
ময়ূর হতে পারে কাক?
ছদ্মবেশের আড়াল থেকে
আসে ধেয়ে কা-কা ডাক।


চুরিতে যার হাত পাকানো
স্বভাবটা তার যাবে কই?
আমজনতার রক্ষক হয়ে
খাবে জনগণের দই।


বোকা-সোকা জনগণে
বুঝতো যদি নেতা চিট,
তবে কি আর দিত পেতে
আপন দেহের উদম পিঠ।


সুযোগ পেয়ে উদম পিঠে
নেতা বাজায় ডুগ-ডুগি,
জনগণের দফারফা
মরছে এখন খুব ভুগি।


২৯/০৫/২০২১ ইং


বিদ্রোহ কর আজি (আর-৪১)
     --জগদীশ চন্দ্র মণ্ডল


এক চড়ে তোর সব কটা দাঁত
ফেলে দেবে ছড়া,
সে দাঁত দিয়ে মজা করে
বানাবে কেউ বড়া।


বড়া খেতে ভেঙে যাবে
তোর দাঁতের ওই মাড়ি,
দাঁত-মাড়িহীন তোকে তখন
পাঠিয়ে দেবে বাড়ি।


গণতন্ত্রের 'গ' জানিস না
মস্তবড়ো নেতা,
শিষ্টাচারও খাবি গুলে
জানতো আগে কে তা?


রাজনীতি নয় খেলার পুতুল
যখন-যেমন খেলবি,
ফাউল করে যখন-তখন
অফ সাইডে গোল ঠেলবি।


জনগণের ভূত-ভবিষ্যৎ
তোদের হাতে ন্যস্ত,
নিজের পকেট ভরতে দেখি
তোরা সবাই ব্যস্ত।


আর কতকাল এমনি করে
চলবে মামদোবাজি,
হে জনগণ! ওঠ্ না জেগে
বিদ্রোহ কর আজি।


৩০/০৫/২০২১ ইং