আমার মায়ের মন ভালো নেই শরীরও নয় ভালো,
দেহ দহে নানান ব্যথায় মুখটা থাকে কালো।
হাতে, পায়ের গাঁটে ব্যথা, মনের ব্যথা বেশি,
কষ্টে পোড়ায় নতুন ব্যথায় টান ধরে যে পেশি।


হরেক রকম জ্বালায় জ্বলে মন থাকে খুব ভারি,
ভালো কথায় রাগ হয়ে যায় মেজাজ খারাপ তারি।
দুঃখে বলে হে ভগবান! বন্ধ কি তোর আঁখি?
পারিসনা কি কেড়ে নিতে আমার পরান পাখি?


এতো জ্বালা সয়না আমার দহি দিবস-যামি!!
কতো ডাকি অহর্নিশি এই অভাগী আমি!
তবু কি তোর হয়না দয়া একটু আমার জন্য,
তুই নাকি খুব দয়ার সাগর বহিস সবার পণ্য!!


মায়ের কষ্টে পুড়ি আমি উপায়হীন এক পুত্র,
দূর করতে ওই মায়ের কষ্ট পাইনা কোন সূত্র।
আমি থাকি অনেক দূরে আইনের জালে বন্দি,
প্রকৃতিও নানান ছুতায় করে নানান ফন্দি।


কতো লোকে মাকে কাঁদায় আপন সুখের তরে,
মায়ের দুঃখের কথা ভেবে আমি পুড়ি ঘরে।
ইচ্ছে সত্ত্বেও আমার কাছে যায় না রাখা মাকে,
পরিবেশের ঘূর্ণিপাকে দিচ্ছি কষ্ট তাকে।


কবে হবে এই ব্যথা দূর দেখবো মায়ের হাসি?
দুর্ভাগ্যের এক বেড়াজালে পড়ছি সদাই ফাঁসি।
দুষ্টু, পাজি করোনা তুই যাবি কবে শুনি,
মায়ের কষ্ট করতে লাঘব আমি যে দিন গুনি।


০৯/১২/২০২০ ইং


(এখানে 'পণ্য' শব্দটি 'বোঝা' অর্থে ব্যবহার করা হয়েছে)