যার যা খুশি লিখতেই পারে, হয় না লিখলে কবিতা,
রং চং মাখা গোলগাল কিছু হয় না যেমন সবিতা।
পদ্য লিখলে ছন্দ-মাত্রা থাকতে হবে পর্ব,
তেমন লিখেই দক্ষ কবি করতে পারে গর্ব।


যেমন খুশি লিখে যদি পেয়ে যায় কেউ সেরার তাজ,
ছন্দ জানার আগ্রহ তার যাবেই মরে বলছি আজ।
ছন্দের জ্ঞান না থাকলে তা হতে পারে প্রবন্ধ,
কিংবা হতে পারে গল্প, কিংবা হবে কবন্ধ।


ছড়া লিখলে ছড়ার ছন্দ স্বরবৃত্তটা জানা চাই,
শব্দের পরে শব্দ দিলেই ছড়া লেখা হয় না ভাই।
অক্ষরবৃত্তে, মাত্রাবৃত্তে লিখলেই তা কবিতা নয়,
ছন্দ-মাত্রা, পর্ব-স্তবক সাজালে ভাই পদ্য হয়।


উপমা আর রূপক হল সব কবিতার আসল গুণ,
এ সব শর্ত পূরণ হলেই জানবে বাণে পূর্ণ তূণ।
সুন্দর করে সাজলে যেমন ঝিকেও দেখায় খুব ভালো,
উপমা আর রূপক থাকলে কবিতা ছড়ায় বেশ আলো।


এই জামানায় সহজ ভেবে সবাই করে গদ্য চর্চা,
জমির কাগজ বুঝতে যেমন জানতে হয় রে রেকর্ড পর্চা,
গদ্য লিখলেও তেমনি সবার জানা প্রয়োজন ছন্দটা।
তবেই না ভাই গদ্য লিখে পাবে কবিতার গন্ধটা।


আমার কাছে গদ্য থেকে পদ্য লেখা সহজ বেশ,
সুঠামদেহী গদ্য পড়লে দীর্ঘ সময় থাকে রেশ।


০৬/০৪/২০২১ ইং


(এটা আমার ব্যক্তিগত ভাবনা। কারো ভালো নাও লাগতে পারে)