এখন সারা পৃথিবীর লোক জানে কুমিল্লার দুর্গা মন্দিরে কোরআন রেখেছিল ইকবাল হোসেন। এই সত্যটি জানার আগে কবিতাটি লিখেছি। কুমিল্লার এই ঘটনার আগে মুরাদনগর, নাসিরনগর, ভোলা, সুনামগঞ্জ এবং কিছুদিন আগে কোটালীপাড়ায় একইভাবে ষড়যন্ত্রের শিকার হয়েছিল হিন্দুরা। সেগুলো মাথায় রেখেই এই কবিতাটি লেখা। সত্য সামনে আসায় আজ কবিতা টি পোস্ট করলাম--
                  
মনের মধ্যে অযুত প্রশ্ন হৃদয়ে রক্তক্ষরণ,
এমনি করেই আর কতকাল হবে রে শ্বাপদ বরণ!
যাদের হিংস্র দন্ত-নখরে ঝরছে শুধুই রক্ত,
দেশে দেশে দেখি আনন্দে ঢাক পিটায় তাদের ভক্ত।


বিশ্বাস কার? কোরান রেখেছে মন্দিরে কোন হিন্দু,
মূর্খের মতো ভাবনা তাদের সন্দেহ নেই বিন্দু।
এমনিতে যারা রোজ মার খায়, কোরান রাখবে তারা?
হাসালে বন্ধু, হেসে হেসে আমি হই যে আত্মহারা।


শিরদাঁড়া বেঁকে গিয়েছে যাদের চক্রান্তের জালে,
কোরানে করবে অপমান তারা কোন সাহসের তালে?
আগুন জ্বলছে আমার পিতৃ-পিতামহদের ঘরে,
নেই কি মানুষ- অত্যাচারীর খড়গ-কৃপাণ ধরে?


বুদ্ধিজীবীরা চুপ করে থাকে বাঁচায়ে নিজের পৃষ্ঠ,
নয়তো ধবল বয়ান দিয়েই দেখায়, দারুণ নিষ্ঠ।
শ্বাপদ থামাতে জিঘাংসা চাই, চাই প্রতিবাদী আস্য,
গান্ধীবাদের শান্তিকামিতা আনে যে আননে হাস্য।


আমি বেদুঈন, আমি চেঙ্গিস, আমিই শান্তির দূত,
চড় খেয়ে গাল পুনঃ পেতে দিলে বাড়ে যে ভূতের পুত।
এক চড় খেলে দুই ঘা বসাও, তবেই আসবে শান্তি,
আগুন নেভাতে আগুন জ্বালাও থাকবে না কোনো খামতি।


ষড়যন্ত্রের বিষদাঁত যদি ভেঙে দিতে পারো কেউ,
তবেই আসবে অমিয় শান্তি, কাঁদবে শ্বাপদে ভেউ।
ক্ষমতার লোভে সাপ পোষে যারা সাবধান হও তারা,
ভুজঙ্গ বিষে নীল হয়ে যাবে হবে যে জীবনহারা।


খাল কেটে যারা কুমির আনেন তাদেরও বলি শুনো
দুয়ারে দাঁড়ায়ে মৃত্যুর দূত আজ হতে দিন গুনো।
তোমার সর্প, তোমার কুমির বধিবে তোমায় জেনো,
পূর্ব সূরীর লোহিত কণিকা ডাকছে তোমায় মেনো।


ইতিহাস চলে আপন গতিতে নদীর স্রোতের মতো,
আজ যারা মারে পরশু হয়তো মার খাবে তারা ততো।
স্রষ্টার মতি বোঝার সাধ্য কোন কালে ছিল কার?
আজ যারা কাঁদে কালকে হয়তো ফুটবে হাস্য তার।


১৯/১০/২০২১ ইং