আয় ছেলেরা আয় মেয়েরা
দেখবি কে কে ভূত,
শেওড়া গাছের তলে আছে
ভূতের একশ পুত।


মিটি মিটি হাসে তারা
কাতুকুতু চায়,
সন্ধেরাতে মায়ের সাথে
এদিক ওদিক যায়।


কী ভেবেছিস মিথ্যে কথা?
মোটেই কিন্তু নয়।
দেখতে চাইলে আসবি সন্ধ্যায়
পাবি না তো ভয়?


ভূতরা তখন হেসে-খেলে
মনের কথা কয়,
ভয় কাতুরে মানুষ নিয়ে
হাস্যরসে রয়।


তোরা এলে চুপিসারে
দেখবো ভূতের সাজ,
রংবেরঙের পোশাক পরে
করে তারা নাচ।


পরের খাবার কেড়ে নিয়ে
ভরে ওদের পেট,
রোডে-ঘাটে ওরাই আবার
মস্ত বড়ো শেঠ।


ভদ্র পোশাক পরে ওরা
মানুষ রূপে হাঁটে,
তৈলবাজি, তোলাবাজি
করে রোডে-ঘাটে।


ভূতের রাজ্যে আমরা সবাই
করছি বসবাস,
ভূতরা সবাই সুখেই আছে
আর সকলের নাশ।


আমরা সবাই ভূতের ভয়ে
চক্ষু মুদে চুপ,
ভূত তাড়াতে মধ্যরাতে
আমরা জ্বালাই ধূপ।


কলিযুগের ভূতরা সবাই
শিক্ষা-দীক্ষায় উচ্চ,
ধূপের ধোঁয়ায় পায় না ভয় আর
ওসব ভীষণ তুচ্ছ।


ধূপ না জ্বেলে লড়তে হবে
ধরো সবাই হাত,
কঠিন-কঠোর আন্দোলনে
করবো ভূতকে কাত।


১৫/০৯/২০২০ ইং