ওই দেখো ঘনঘন ডাকে মেঘমল্লা,
আকাশের গায়ে ওরা করে সুখে হল্লা।
মানুষের মতো ওরা ভাবে না তো কিচ্ছু,
অপরের সুখ নাশে নয় ওরা বিচ্ছু।


সাদা-কালো কত মেঘ নীলাকাশে উড়ে,
মন ছুটে যেতে চায় মেঘেদের ফুড়ে।
দিনমণি সারাদিন দিয়ে যায় আলো,
রজনী রাঙায় শশী কী যে লাগে ভালো!


চাঁদ-তারা মিলেমিশে থাকে আসমানে,
রাগ-ক্ষোভ-পরদ্বেষ ওরা নাহি জানে।
মানুষের মতো ওরা নয় তো বিদ্বেষী,
ক্ষুদ্র জীবনে মানুষ করে রেষারেষি।


মানুষের মতো নয় পশু-পাখি সভ্য,
ওদের আচরণ কি এতটা অভব্য?
বহমান নদী চলে সাগরের ডাকে,
কত সুখ দিয়ে যায় পথচলা ফাঁকে।


শস্য ফলে তার জলে করে লোকে চান,
তার বুকে নাও বেয়ে মাঝি গায় গান।
মানব জীবনে বৃক্ষ কত উপকারী!
কখনো কি মনে হয় ওরা অহংকারী?


ফল, ফুল, পাতা তার লাগে কত কাজে,
অকাতরে দিয়ে যায় মানা করে না যে।
পুষ্টি পেতে বৃক্ষ ফল কত প্রয়োজন!
অক্সিজেন দিয়ে ওরা সুহৃদ-সুজন।


সৃষ্টির এ সেরা জীব মানুষের মত,
অপরের অহিতে কি আছে কেউ রত?
পাঁকে ডুবে আছে এই মানব সমাজ,
মাথা থেকে কাড়ো বিধি মণিময় তাজ।

১৩/০৩/২০২১ ইং