স্রষ্টার জমি কে দখল করে? এমন সাধ্য কার?
তাঁর নাম নিয়ে বারে বারে কেন চালাও অত্যাচার?
তাঁর নামে যদি কেউ গালি দেয় বিচারের ভার তাঁর,
সেই দায়িত্ব কাঁধে তুলে নিয়ে কেন হও জেরবার?


তাঁকে কি তোমরা দুর্বল ভাবো? ভাবো কি শক্তিহীন?
তাই বুঝি হাতে তরবারি নিয়ে দাপিয়ে কাটাও দিন?
এই ব্রহ্মাণ্ড, চন্দ্র-সূর্য, গ্রহরাজি যত তারা,
সব সৃজিয়াছে তবুও হয়নি গর্বে আত্মহারা।


নিমেষে সৃজিয়া অগ্নি ও জল, জীবন বাঁচাতে বায়ু,
সৃষ্টির সেরা মানুষ সৃজিয়া দিয়েছে ক্ষুদ্র আয়ু।
অল্প দিনের ক্ষুদ্র জীবনে করো যে অহংকার,
অনিমেষ চোখে সব কিছু দেখে, করে নাকো সংহার।


তাঁর নাম নিয়ে মানুষ হত্যা? এ যে তাকে অপমান,
নিশ্চয় তিনি নিজ দরবারে অস্ত্রে দিচ্ছে শান!
বিশ্বাসী হও, কিবা নাস্তিক! কী যায় ও আসে তাতে!
দণ্ড তোমাকে পেতেই হবে যে নিষ্ঠুর অভিঘাতে।


হিন্দু কিংবা মুসলিম হও, অথবা উচ্চ জাত,
সব তোমাদের বানানো গল্প- মিথ্যের বাজিমাত।
স্রষ্টাকে জানো? নয় হীনবল, সব ভাষা তিনি বোঝে,
অসীম ধৈর্য, অবিচল থেকে শান্তির পথ খোঁজে।


ভিন্ন ভিন্ন নামে ডেকে ভাবো তোমরা শ্রেষ্ঠ বীর,
নিজের আসনে বসে তিনি ভাবে- গাধার উচ্চ শির।
এক লহমায় ধুয়ে দিতে পারে পঙ্কিল কাঁটাবন,
পারে মুছে দিতে বেদনার নদী, সুখে ভেজা মধু ক্ষণ।


সেই স্রষ্টার শক্তিতে কেন হও গো সন্ধিহান?
কেন তার জমি হারানোর ভয়ে ওঠাও ঝড়-তুফান?
নিজের শক্তি ভক্তিতে থাকো পাহাড়-প্রাচীর থির,
জলে যে নামবে সেই ভিজে যাবে হও কেন অস্থির?


চির অক্ষয়-অব্যয় তিনি যা কিছু আছে ধরায়,
সবকিছু তিনি সৃষ্টি করেছে, করে নাকো হায়! হায়!!
কে বেঁচে থাকবে, কাকে তুলে নেবে- এই সব তাঁর খেলা!
বিচারের ভার তুলে হাতে কেন ডুবাও নিজের বেলা?


ধুলো ধূসরিত এ পৃথিবী শুধু দুদিনের খেলাঘর,
জীর্ণ এ দেহ পড়ে রবে ধুলে হয়ে যাবে তুমি পর।
হিংসার মেঘে ঝরানো অগ্নি পোড়াবে, পুড়িবে নিজে,
ভালোবাসা দিলে প্রেম বরিষনে অনায়াসে যাবে ভিজে।


১৩/০৭/২০২২ ইং