এই কবিতাটি একজন অজ্ঞাত অথচ দারুণ মেধাবী, বয়সের ভারে ন্যুব্জ শ্রদ্ধেয় কবি অনিল বরণ বর  মহাশয় কে উৎসর্গ করলাম। তাঁর কয়েকটি কবিতা পড়ে আমি বিমোহিত হয়েছি। তাই তাঁর প্রতি আমার পক্ষ থেকে অকৃত্রিম, গভীর শ্রদ্ধাঞ্জলি--
              
এ কালের মানুষের দুর্মতি প্রবল,
পশু প্রবৃত্তির বলে করে শুধু ছল।
শহরের পথে-ঘাটে পাবে না মানুষ,
আত্মস্বার্থে আত্মমগ্ন, কারো নেই হুঁশ।
শিক্ষার প্রাবল্যে ওরা সবাই চতুর,
গরিবের সব লুটে করে যে ফতুর।
গরিবের সততার সুযোগে সবাই,
ওদের বিশ্বাস করে সমূলে জবাই।
চেয়ে দেখো, পল্লী গাঁয়ে আত্মভোলা লোক,
অপরের দুঃখ-কষ্টে পায় খুব শোক।
সবার জীবন যেন এক সুরে বাঁধা,
অল্পে তুষ্ট, হাসি-গানে জীবনটা সাধা।
অপরের সুখে হাসে, নেই হিংসা-দ্বেষ,
দেখে মনে জেগে ওঠে সুখের আবেশ।
শহরের লোকগুলো পরশ্রীকাতর,
অপরের দুঃখে মাখে খুশির আতর।
কারো সাথে নেই কারো ভাব-ভালোবাসা,
সবাই নিজেকে নিয়ে থাকে খুব খাসা।
কে এলো কে গেলো কার নয়নে সলিল,
ওসব ভাবে না ওরা জেনো এক তিল।
কৃষকের শস্যে ওরা খায় বারো মাস,
অথবা থাকেন সুখে- গড়া যে আবাস,
মজুরের রক্ত-ঘামে সুরম্য প্রাসাদ।
অবহেলা, অবজ্ঞায় হয় বরবাদ
তাদের জীবন। অকৃতজ্ঞ জ্ঞানী সব,
যাদের কারণে করে সুখে কলরব,
তাদেরকে হেলা! ভোগ সর্বস্ব জীবন,
নেই ভালোবাসা, আছে বেশরম মন।
তাইতো ঈশ্বর আজ ক্ষেপেছে দারুণ,
প্রকৃতি বিরূপ সদা ধ্বংসের আগুন
দিকে দিকে প্রজ্বলিত! হও সংশোধন,
অন্যথায় এ ধরা হবে খাণ্ডব বন।


১০/১০/২০২১ ইং