নাটাই ছেঁড়া ঘুড়ির মতো গোত্তা খেয়ে উড়িস,
মাঝে মাঝে একটু না হয় আমার দিকে ঘুরিস।
তোর আশাতে পথের পানে তকাই সারাক্ষণ,
ডুমুরের ফুল হয়েই থাকিস ব্যথায় ভরে মন।


সকালবেলা শিউলি তলায় খুঁজি যে তোর কায়া,
ফুলের সাজি ফাঁকাই থাকে দেখি না তোর ছায়া।
ভরদুপুরে রৌদ্র মেখে ঘুরিস বনে বাদাড়ে,
আমার দিবস কাটে বসে বদ্ধ ঘরের আঁধারে।


বাবার আদর, মায়ের সোহাগ আমার গলায় ফাঁস,
তোর অভাবে আমি নিতি করি যে হাসফাস।
জলের থেকে ডাঙায় তুললে মাছের যেমন হয়,
তোকে ছাড়া আমার জীবন তেমনি হচ্ছে ক্ষয়।


সৃষ্টিছাড়া এক সকালে বললি ভালোবাসি,
তখন থেকেই কেড়ে নিলি আমার মুখের হাসি।
বিনিসুতোর মালার মতো ভালোবাসার মালা,
গেঁথে গেঁথে এখন আমার জীবন ঝালাপালা।


লাঘব করতে পরের দুঃখ ছুটিস সারাদিন,
আমার কথা ভাবার মতো হয়না সময় ক্ষীণ।
শ্রাবণ মাসের বৃষ্টি ঝরে আমার দুটি চোখে,
ভালোবাসি বলেছিলি কু-লক্ষণা ঝোঁকে।


ভুলেই গেছি কবে যে তুই দিয়েছিলে দেখা,
ফাগুন মাসের ভর পূর্ণিমা কেটে গেল একা।
সেই যে কবে জোছনা রাতে দেখেছিলাম মুখ,
এমনি করে সারা জীবন দিবি আমায় দুখ?


আউলা ঝড়ে চিঠি দিয়ে বলছি তোকে শোন,
মনের ঘরে তালা দিয়ে থাকবো গৃহকোণ।
যতই খুঁজিস শিউলিতলা, বটের ছায়াতলে,
খুঁজে আমায় পাবি না তুই মাথা খুঁড়ে মলে।


২১/০৩/২০২১ ইং