চার বছরের একটি দলিত বালক
জন্মদিনে মন্দিরে যাবার সাধ জেগেছিল তার
আপ্লুত দরিদ্র পিতা
ছেলেকে নিয়ে যায় পাশে থাকা একটি হনুমান মন্দিরে
মন্দিরটি অধুনা উচ্চবর্ণের লোকদের সম্পত্তি;
দেবতার নয়
ওদের দৃষ্টিতে দলিতদের মন্দিরে প্রবেশ অপরাধ
সেই অপরাধে ছত্রিশ হাজার টাকা জরিমানা
মন্দিরের অপবিত্রতা দূর করার জন্য এগারো হাজার টাকা
আর বাকি টাকা সমাজ পতিদের পকেট মানি


এ ঘটনা একবিংশ শতাব্দীর ভারতবর্ষে
ওরে বেতমিজ! দুর্মদ, বেহায়া--!
তোরা করবি মন্দিরের পবিত্রতা উদ্ধার?
তোদের ছোঁয়ায় মন্দির হবে আরো বেশি অপবিত্র
গঙ্গার জলেও দূর হবে না সেই অপবিত্রতা
সাবান-সোডায় পরিষ্কার হয় দেহের ময়লা
কাপড়-চোপড়ে লেগে থাকা জঘন্য ময়লা
কিন্তু তোদের মনের ময়লা পরিষ্কার হবে কিসে?
হয়তো ওই নাবালকের ত্যাগকৃত----


উচ্চবর্ণ-নিম্নবর্ণ বলে কিছু নেই
সনাতন হিন্দু শাস্ত্র মতে চার বর্ণের শ্রেষ্ঠ ব্রাহ্মণ
কিন্তু তোদের মতো কুলাঙ্গার কখনো ব্রাহ্মণ নয়
পৈতা আর পৈতৃক পদবী ব্রাহ্মণ হওয়ার বৈশিষ্ট্য নয়
ব্রাহ্মণ হতে প্রয়োজন কিছু মানবিক গুণাবলী--
যার নাম সত্ত্বগুণ
যা প্রকৃতি প্রদত্ত
যা ইচ্ছে করলেই অর্জন করা যায় না
যা কারো পৈত্রিক সম্পত্তি নয়
তার সাথে যুক্ত হয় পেশা বা কর্ম
শাস্ত্রমতে সৃষ্ট চার বর্ণের কোন বর্ণের যোগ্য নোস তোরা
তোরা দেশ ও জাতির কলঙ্ক
তোদের জন্য সৃষ্টি করছি পঞ্চম বর্ণ
যার নাম 'কুলাঙ্গার'
জেগে উঠেছে তরুণ সমাজ
গোয়ালে বেঁধে ঘাস দেবে তোদের
নয়তো চুবিয়ে মারবে সাগরের নোনা জলে--


২৫/০৯/২০২১ ইং


তথ্যসূত্র: ২৪/০৯/২০২১ ইং তারিখের দৈনিক যুগশঙ্খ পত্রিকা।