লক্ষণ বলে, শোন রে নেতার দুগ্ধপোষ্য ছাও!
বাপের নামে মাতব্বরি করিস না আর ফাও!
বাতাস কি আর অনাদিকাল একই দিকে বয়?
ভূমিকম্পে মাঝে মাঝে পাহাড়ও হয় লয়।


ক্ষমতা আর দাপট কারো থাকে চিরকাল?
শতবর্ষী দলের নেতার দেখ না চেয়ে হাল!
সম্রাট অশোক, বাবর-আকবর বেঁচে আছে কেউ?
তাদের কাছে তোর বাবা তো চুনোপুঁটি, ফেউ!


কেউ জানে না কার মস্তকে পড়বে অনল বাজ!
আজ যে ফকির কাল সে পারে হতে মহারাজ।
বানের জলে উঠবে যখন আকাশ সমান ঢেউ,
তখন কি আর নেতা-ফকির বাঁচতে পারবে কেউ?


অত্যাচারের উগ্রতাপে জ্বলছে আগুন রোজ,
এসির মধ্যে ব'সে তোরা করছিস মহাভোজ?
দাবানলের অগ্নিশিখায় জ্বললে জনগণ,
মরবি পুড়ে নেতা-মন্ত্রী যেমন পোড়ে বন।


পরের ঘরে আগুন দিয়ে দিচ্ছিস গোঁফে তা,
বুঝবি পড়লে পিঠের 'পরে মস্তবড়ো ঘা।
আমি লক্ষণ- নেতার পুতে পাই না মোটেই ভয়,
ইন্দ্রজিতের মতো মেরে ক'রবো শত্রু জয়।


২৫/০৩/২০২২ ইং


পাগলের প্রলাপ--


উপরোক্ত কবিতাটি নিচের কবিতাটির ধারাবাহিক অংশ। যদিও নাম আলাদা। তাই ধারাবাহিক চিত্র পাওয়ার জন্য নিচের কবিতাটি এখানে সংযোজন করলাম।


নেতার পুতের বয়ান!
                         --জগদীশ চন্দ্র মণ্ডল


জানিস আমি কে?
আমার বাবা মস্তবড়ো নেতা!
যেমন খুশি করতে পারি ঠেকাবে বল কে তা?
আমার সাথে দিবি না আর আড়ি!
নইলে তল্পিতল্পাসহ যেতে হবে বাড়ি!!
পড়ালেখা বন্ধ হবে, করতে হবে কাজ!
যা বলছি তা চুপটি ক'রে শোন রে লক্ষণ আজ!!
নেতা হওয়ার জানিস, কী যে গুণ!
নিজে কিংবা পাণ্ডা দিয়ে করতে পারি খুন!!
কারো ঘরে আগুন দেয়া? এ তো কিছুই নয়!
দশ বারোজন মানুষ মরলে সমাজের কী হয়!!
আমার খাবি, আমার পরবি, দিবি অন্যে ভোট?
দিলাম খানিক শিক্ষা এবার ব'সে কপাল খোট!
জিনিসপত্রের দাম বাড়লে বল কেন করিস রাগ?
ইট-বালু আর সিমেন্ট থেকে নিচ্ছি আমরা ভাগ।
সবজির এতো দাম কেন বল বাড়ে?
আমাদের ভাগ না দিয়ে কেউ চলতে পারে না রে!
দেশ চালাতে কত টাকা লাগে!
ভেবেছিস কি আগে?
সব কিছুতে তাই তো আমরা নিচ্ছি চাঁদা রোজ,
এসির মধ্যে মদ ও মাংসে করছি সুখে ভোজ!
অবশিষ্ট তোদের দিচ্ছি পেতে তোদের মন,
তোদের টাকায় কিনছি তোদের- ভাব না রে, লক্ষণ!!


বলছি এবার শোন--
যেমন বলবো তেমন করবি, করবি না রে আন!
নইলে তোদের মন্দ কপাল ভেঙে হবে খান--!!


২৩/০৩/২০২২ ইং