কার ডাক শুনে ভোরের বেলা ভাঙতো আমার ঘুম?
আলতো করে আমার ভালে দিত সোহাগ চুম।
সে যে আমার জনম দুখি জন্মদাত্রী মা,
যার হৃদয়ের যন্ত্রণাটা দিচ্ছে আমায় ঘা।


কার মুখ দেখে ভোরের রবি হাসতো মিটিমিটি?
বই না পড়লে মাঝে মাঝে করতো খিটিমিটি।
সে যে আমার সোহাগিনী, আদরিণী মা,
দূরে বসে তার ব্যথাতে কাঁপছে আমার গা।


স্কুল থেকে বাড়ি ফিরে খাবার নাহি পেলে,
চলে যেতাম খেলার মাঠে আসতে একটু খেলে।
ছুঁড়ে ফেলা পুস্তক-খাতা দেখে ডাকতো মায়,
বলতো হেসে ভাত খেয়ে যা, তাড়াতাড়ি আয়।


ছোট্ট বেলায় জ্বরের ঘোরে হয়ে যেতাম কাবু,
ডাক্তার এসে পথ্য দিতেন খেতে হবে সাবু।
দিবস-রাতি মাথায় মাতা ঢালতো শুধু জল,
মায়ের চোখের অশ্রুরাশি করতো টলমল।


জল ঢালা, পথ্য রাঁধা করতো একা হাতে,
হরেক রকম সংসারের কাজ করতো সাথে সাথে।
মায়ের এখন বয়স অনেক শরীরটা নেই ভালো,
নানা রকম ব্যথার জ্বালায় মুখ হয়ে যায় কালো।


অভাগা এই আমি আছি মায়ের থেকে দূরে,
মায়ের ব্যথা লাঘব করার উপায়হীন এক কুঁড়ে।
সত্যি যদি থাকো তুমি হে বিধাতা শোন,
মাকে আমার কাছে আনার উপায় বল কোন।


মাকে পেলে কাছে আমার শান্ত হবে মন,
মাকে খুশি রাখার চেষ্টা করবো অনুক্ষণ।
এ জগতে মায়ের মতো নেই তো আপনজন,
মায়ের স্নেহের আঁচল তলে শান্তি সর্বক্ষণ।


০১/০৩/২০২১ ইং