যেদিকে চাই দেখতে যে পাই ভয়ঙ্কর এক ছবি!
যেন   দিনের বেলায় অস্ত যাচ্ছে মস্তবড়ো রবি!
ছেলে তো নয় যেন পশু দেখি অনেক ঘরে,
মা-বাবাকে কষ্ট দিয়ে সুখে সংসার করে।


বৃদ্ধ বাবা-মাকে তারা দেয় না কোন খাবার,
বউয়ের কথায় উঠে বসে, পা টিপে দেয় আবার!
কথায় কথায় বাবা-মায়ের ধরে শুধু ত্রুটি,
নিজেরা খায় পলান্ন আর তাদেরকে দেয় রুটি।


মদের নেশায় মত্ত হয়ে অনেক মাতাল ঘোরে,
যখন-তখন দিচ্ছে হানা পরের বউয়ের দোরে।
হর-হামেশা খুন-খারাপি হচ্ছে দিনে-রাতে!
দেখেও কেউ কয় না কথা নানান অজুহাতে।


ধর্ষণ! সে তো হাতের ময়লা যখন-তখন ঘটে,
যেন ধর্ষক আঁকছে ছবি সবুজ চিত্রপটে।
মুঠোফোনে ধারণ ক'রে দেয় ছড়িয়ে ধর্ষণ,
অনেক উন্মাদ আনন্দ পায় ক'রে ওসব দর্শন।


বখাটে সব ছেলে-মেয়ে দেয় না কাউকে সম্মান,
দেখলে গাঁয়ের পাতি নেতা গাঁজা সেধে দেয় মান।
কাজের নামে পুকুরচুরি নেই তো কারো লজ্জা!
নেই চেতনা! ওদের গায়ে গরুর অস্থি মজ্জা!


মাঝে মাঝে যাচ্ছে শোনা বউকে বদল ক'রে,
হানিমুনে যাচ্ছে পশু মূষিকের ভেক ধ'রে!
এসব কাণ্ড দেখার পরে কার বা লাগে ভালো!
মুমূর্ষু এ পৃথিবীতে কে জ্বালাবে আলো!?


২৬/০১/২০২২ ইং