শতকরা নিরানব্বই ভাগ লোকের বিশ্বাস নিয়ে যারা ছিনিমিনি খেলে, গালাগাল দেয়,
তাদের কি সাম্যবাদী বা মানবতাবাদী বলা যায়?


কারো সামনে তার মা-বাবা কে গালাগালি করলে
সে কি বসে থাকে? অবশ্যই থাকেনা।
হয় সে উল্টো গালাগাল দেয়,
নয়তো তেড়ে আসে মারতে। নয় কি?
তেমনি যারা ধর্ম বা স্রষ্টার প্রতি বিশ্বাসী তাদের কাছে
বাবা-মায়ের চেয়েও স্রষ্টা বা ধর্ম অধিক কিছু।
গৌরাঙ্গ মহাপ্রভু পূজনীয়া মা এবং সুন্দরী স্ত্রীকে
ছেড়ে সন্ন্যাস নিয়েছিলেন ধর্মের জন্যই।
বাবা লোকনাথ সংসার ত্যাগ করেছিলেন তরুণ বয়সে।
তাঁরা জগদ্বিখ্যাত।
ধর্মের জন্য সংসার ত্যাগ করার উদাহরণ অনেক।
তাই যারা ঈশ্বর বা ধর্মেকে গালাগাল দেয়
তারা সাধারণ ধর্মপ্রাণ মানুষদের মনে কষ্ট দেয়।
এসব যারা বোঝে না তারা মনুষ্যত্ব বিবর্জিত হায়না!!
দেয়ালে পিঠ ঠেকে গেলে হয়তো একদিন
লাঠি নিয়ে তেড়ে আসবে এ সব ধর্মপ্রাণ নিরীহ মানুষ।
"মদ" কে ভালবেসে কেউ মদের নেশায় বুঁদ হয়ে থাকে,
আর কেউ ঈশ্বরকে ভালবেসে, ধর্মকে ভালোবেসে "স্রষ্টার প্রেমে" বুঁদ হয়ে থাকে।
কেউ "মদ" বেচে "দুধ" কেনে;
আবার কেউ "দুধ" বিক্রি করে "মদ" কেনে।
যার যেটা ভালো লাগে।


শতকরা এই নিরানব্বই ভাগ মানুষের বিশ্বাসকে
প্রতিনিয়ত যারা খুন করে, ধর্ষণ করে,
তাদের কি মানুষ নামে অভিহিত করা যায়?
তারাও কি নারী ধর্ষণকারীর মতোই "ধর্ষক" নয়?
অথচ এরা সাম্যবাদের, মানবতাবাদের মুখোশ এঁটে
প্রতিনিয়ত প্রগতিশীলতার ডঙ্কা পিটায়!!
যারা অন্যদের বিশ্বাস, মতামতকে সম্মান করেনা,
শ্রদ্ধা করেনা তারা কি সাম্যবাদী বা
মানবতাবাদী হতে পারে?
তারা সব নপুংসক!! ফ্যাসিস্ট!!
এসব নষ্ট চরিত্র, ভ্রষ্টদের মুখে মানবতাবাদ, সাম্যবাদ
মানে "ভূতের মুখে রাম নাম"।
তবে ধর্ম বা ঈশ্বরকে অবিশ্বাস করার অধিকার এদের থাকতে পারে; কিন্তু গালাগাল করা ব অন্যদের বিশ্বাসে আঘাত করার অধিকার নয়!


এদের গালাগালির বহর দেখে প্রমাণ হয় "তিনি আছেন"। তাই ভয় হয়, কখন পুরোপুরি মেনে বসবো
"ভগবান কে"--!


১০/০২/২০২১ ইং