আমাকে সবাই নাস্তিক বলেই জানে
আমার পরিবার, বন্ধু-বান্ধব, আত্মীয়-স্বজন সবাই।
চারিদিকে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা
প্রকৃতির অপরূপ শোভা, সাগর-নদী,
পাহাড়-পর্বত, চাঁদ-সূর্য, গ্রহ-তারকা,
বেঁচে থাকার রসদ জল, জীবনদায়ী বাতাস, তাপ
যা বেঁচে থাকার জন্য অপরিহার্য,
যা মানুষ সৃষ্টি করেনি,
এমনকি করার যোগ্যতা এখনো অর্জন করেনি,
এই সব যিনি সৃষ্টি করেছেন তিনিই স্রষ্টা।
আল্লাহ, ভগবান, ঈশ্বর যে নামেই ডাকিনা কেন
এগুলো থেকে স্রষ্টার অস্তিত্ব অনুভব করতে পারি।
তাই বলে মন্দির-মসজিদে গিয়ে
তাকে না ডাকলে আমার ক্ষতি হবে বা
ডাকলে আমার বিশেষ লাভ হবে--বিশ্বাস করি না।


আমার বিশ্বাস বা ভাবনা একান্ত আমার,
চাপিয়ে দিতে পারি না কারো উপর।
স্রষ্টা বা ধর্মের প্রতি যাদের অগাধ বিশ্বাস এবং
আস্থা রয়েছে, মন্দির-মসজিদে গিয়ে যারা প্রার্থণা করে,
আমি তাদেরকে শ্রদ্ধা করি, সম্মান করি সর্বান্তকরণে।


সকল ধর্ম সম্প্রদায়ের মধ্যে বিশ্বাসী লোকের সংখ্যা
শতকরা নিরানব্বই ভাগের চেয়েও বেশি।
গণতন্ত্রে শতকরা পঞ্চাশ ভাগের বেশি লোকের
সমর্থনে দেশ চলে, আইন তৈরি হয়।
মতের অমিল হলেও অন্যরা মেনে নেয়।
অন্যথায় আইন অমান্য করা হয় যা
এক ধরনের অপরাধ।


ধর্মীয় বিশ্বাসের ক্ষেত্রে শতকরা এক ভাগেরও
কম লোক প্রতিনিয়ত ধর্মকে গালি দিয়ে যাচ্ছে,
বিশেষ করে "সনাতন হিন্দু ধর্ম এবং দেবতাদের"।
কিন্তু মজার বিষয় এদের অধিকাংশই
হিন্দু ধর্ম থেকে উৎসারিত!!
এরা অন্য ধর্মকে গালাগাল দেয় না।
সম্ভবত সাহসে কুলায় না!! নপুংসক!!


১০/০২/২০২১ ইং


আগামী পর্বে সমাপ্য--