প্রেমের কবিতা লিখবো বলেই কলম ধরেছি হাতে,
শব্দের বাণ কৃপাণের মতো ছুটে আসে অভিঘাতে।
চারিদিকে এতো খুন-ধর্ষণ রক্তপাতের মেলা,
সে সব দেখো না, প্রেম চোখে পড়ে? এ যেন মরণ খেলা।


এ কী যন্ত্রনা! হায়!
স্বপ্ন আমার ভেঙে চুরে যায় কাল বৈশাখি ঘায়!
চোখের সামনে ভেসে ওঠে কত ধর্ষিতাদের মুখ,
হৃদয় পোড়ানো গন্ধে নিতুই পুড়ছে আমার সুখ।


চৈত্র নিদাঘ পোড়ায় যাদের মন্দভাগ্য ভাল,
কে আছে এমন শান্তি ছোঁয়ায় ফেরাবে ওদের হাল?
ধর্ষিতা ঘোরে বিচারের দ্বারে নয়নে মেঘের জল,
বিচারের বাণী কেঁদে ফিরে যায়, কে দেবে বিচার বল?


ভিক্ষাপাত্র হাতে নিয়ে শিশু রাজপথে পথে ঘুরে,
সানগ্লাস আটা ডিস্কো বাবুরা থাকে নিরাপদ দূরে।
পাড়ায় পাড়ায় কিংবা শহরে রোজ খুন হয় কত!
ক্ষমতা অন্ধ অবিচল! বলে- মরছে পিঁপড়া যত!


দুর্নীতি রোধে বিচারের অসি যখন ঝলসে ওঠে,
মচ্ছবে মাতা উকিল বাবুরা দুর্বার বেগে ছোটে!
পারিতোষিকের ঘন কল্লোলে ওরা আজ দিশেহারা,
ওদের ধাতার নির্দেশে ওরা দারুণ পাগল পারা!!


ধর্ষক-খুনি নিদারুণ সুখি আঁধারই ওদের পথ,
মৃত্যু মিছিলে অনায়াসে ওরা ছোটায় বিজয় রথ।
এই দুর্দিনে প্রেম আসে নাকো নয়নে অগ্নি জ্বলে,
কত ধর্ষিতা কেঁদে কেঁদে ডোবে নীল সাগরের তলে।


১৮/০৪/২০২২ ইং