বাংলা আমার মায়ের মুখের মিষ্টি মধুর হাসি,
সবুজ শ্যামল এই বাংলার মাঠ-ঘাট ভালোবাসি।
ফসলের মাঠে কৃষকের হাসি জুড়ায় আমার প্রাণ,
এ মন ভরায় পাকা ফসলের মিষ্টি মধুর ঘ্রাণ।


পাকা ফসলের মউ মউ ঘ্রাণ হৃদয়ে জাগায় সুর,
হরেক পিঠার ধুম পড়ে গাঁয়ে মন করে ঘুর ঘুর।
মায়ের হাতের মিষ্টি পিঠায় মন ভরে যায় সুখে,
দূর হয়ে যায় দুঃখ-অভাব হাসি ফোটে সব মুখে।


পাখ-পাখালির মধুর কাকলি ভাঙায় ভোরের ঘুম,
চুপিসারে এসে সূর্যি মামায় দেয় যে কপালে চুম।
ফসলের মাঠে দোলা দিয়ে যায় দখিনা সমীর ধীরে,
ফাগুন হাওয়া নবীন বধূরে চুপি চুপি ধরে ঘিরে।


ধুলোর পাহাড় নিমেষে উড়িয়ে গো-মহিষ যায় ছুটে,
বৃষ্টিতে ভিজে ফুটবল খেলে দুষ্টু ছেলেরা জুটে।
গাঁয়ের বধূরা বিকেল বেলায় হাসি তামাশায় ঘাটে,
গল্পে গল্পে সময় কাটায় দিনমণি যায় পাটে।


সন্ধেবেলায় বিহগ-বিহগী আপন কুলায় ফিরে,
গরু-মহিষের পিছনে পিছনে রাখাল ফিরছে ধীরে।
কুলনারীগণ সারি বেঁধে বসে সযতনে বাঁধে চুল,
মায়ের মুখের উলুধ্বনি রবে ঘরে ফিরে শিশুকুল।


গোলাভরা ধান, পুকুরের মাছ, কৃষকের মুখে হাসি,
ধুলোমাখা ওই মেঠো পথ খানি এখনো যে ভালোবাসি।
বাবুর বাগানে ঝড়ের বাতাসে আম কুড়ানোর সুখ,
মনের ভেতরে উঁকি মেরে যায় হাসি মাখা কারো মুখ।


ইট-কাঠে ভরা শহুরে জীবন লাগে না যে আর ভালো,
মন পেতে চায় পল্লী গাঁয়ের নীল জোছনার আলো।


২৫/০৯/২০২০ ইং