আমি যে আমার মতো জীবন চালাই,
যা পেয়েছি তাতে সুখি কোন দুঃখ নাই।
খাই না কারো খাবার, ধারি না তো ধার,
সোজা কথা সোজা ভাবে বলি বারবার।
সবার কল্যাণ চিন্তা করে যাই রোজ,
সুযোগ পেলেই নেই সুহৃদের খোঁজ।
অপরের সুখে পাই অনাবিল সুখ,
আবার পরের দুঃখে ভেঙে যায় বুক।
বৃক্ষতলে বাসকারী ভিখারির হাসি,
উছল নদীর মতো খুশি রাশি রাশি
বিলায় আমার বুকে। বিত্তশালী ভাবে
বসে এ কেমন সুখ? যে কাটে অভাবে
দিন, নেই চাল-চুলো, তার হাসি মুখ
কেন অনে বৈভবের মাঝে তীব্র দুখ?
রাশি রাশি কাঁড়ি কাঁড়ি আছে যার ভাই,
তার মনে লেগে থাকে শুধু খাই খাই।
মেটে না বিত্তের লিপ্সা বিষাদের সুর,
আঠা হয়ে লেগে থাকে হয় না বিদূর।
দুঃখ ভাগ করে দেখো হয়ে যাবে আধা,
দুখিরে কাঁদায়ে হাসে তারা বড়ো গাধা।
অনাশীর মুখে তুলে দিয়ে দেখো ভাত,
খুঁজে পাবে তার মুখে সোনালি প্রভাত।
যেমন নবীন আলো তাড়িয়ে আঁধার,
আলোকিত করে দেয় পৃথ্বী চারিধার।
তেমনি ওদের সুখে ভরে যাবে হৃদ,
নিমেষেই বুঝে যাবে ওরা যে সুহৃদ।
ধন-মান নয়, ওরা চায় যে মমতা,
চায় স্নেহ-ভালোবাসা, চায় না ক্ষমতা।
তাকাও বিত্তের মাঝে বন্ধু আছে যতো,
সুবিধা ফুরালে যায় সময়ের মতো
ক্রমাগত দূরে চলে, আসে না ফিরে।
বিপদে, দুর্দিনে ওরা থাকে পাশে ঘিরে।
আমি তাই ভালোবাসি নিপীড়িত যারা,
সহায়-সম্পদহীন, যারা সর্বহারা।
নিঃস্বার্থ ওদের প্রেম কুসুমকানন,
নির্মল আনন্দে ভরে বিষণ্ণ আনন।
একবার ভুলে দেখো ধর্মের নিগড়,
সবাই আপন হবে, কেউ নয় পর।
ভুলে যাবে ভেদাভেদ, ধরা দেবে এসে
অমিয়-অনন্ত সুখ হেসে ভালোবেসে।


২৯/১০/২০২১ ইং।