ভালোবাসা বড়ো অমূল্য ধন সবাই কি আর পায়?
রাস্তার ধারে কিশোর বালক ভুখা পেটে গান গায়।
পিতা-মাতা ওর শান্তির ঘুমে আঁধারে রয়েছে চুপ,
সারাদিন ঘুরে ক্লান্ত শরীরে কিনে আনে কিছু ধূপ।


আধপেটা খায় তবুও ভোলে না বাবা ও মায়ের কথা,
ওদের কবরে ধূপকাঠি জ্বেলে পালে বসে নীরবতা।
রাতের আকাশে তারাদের দিকে চেয়ে চেয়ে কাঁদে খুব,
দিনের আলোয় অন্ন জোটাতে কর্মতে দেয় ডুব।


গনগনে রোদে বড়দের ভিড়ে ছোট হাতে করে কাজ,
ছোট বলে ওকে কম টাকা দিয়ে মালিক করে যে রাজ।
বাঁচার তাগিদে খেটে চলে শিশু জীবনদেবতা হাসে,
ক্লান্ত শরীরে গাছের ছায়ায় ঘুমায় নরম ঘাসে।


মানবতা দেখো পথের ধুলায় লুটোপুটি খায় রোজ,
শীতঘুমে থাকা ক্ষমতাবানেরা নেয় কি কখনো খোঁজ?
হাজার হাজার এমন কিশোর পথের ধুলার 'পরে,
অনাহারে আর অনাদরে যায় কালের গর্ভে ঝরে।


কিশোরের মতো আমিও না হয় আকাশের তারা গুনে,
নির্ঘুমে বসে কাটাবো রজনী নির্বাক কথা শুনে।
মানুষের মতো নির্মম পশু নেইতো ধরায় আর,
ভালবাসাহীন স্বার্থের প্রেম হয়ে যাক ছারখার!!


০৫/০৭/২০২১ ইং