চৈত্রের নিদাঘ দুপুর
একাকি হাঁটছি, নির্জন রাস্তায়।
মনে পড়ে--
দাবানলে জ্বলছে পৃথিবীর ফুসফুস,
দম বন্ধ হয়ে আসছে সর্বংসহা ধরনীর।
ভাবছি--
হঠাৎ যদি সূর্যের তাপাগ্নিতে
পুড়ে যেত মানুষের লোভের আগুন,
শ্বাপদের কামুকতা,
এমনকি সমস্ত দেশ,
চিতার আগুনে যেভাবে পুড়ে যায় মানুষের দেহ।
তাহলে কেমন হতো?


যদি গলে যেত মেরু অঞ্চলের সমস্ত বরফ
আগুনের লেলিহান শিখায়
যেভাবে গলে যায় মোম।
তাহলে কেমন হতো?
জলমগ্ন পৃথিবী থেকে--
ধুয়ে-মুছে সাফ হয়ে যেত
হায়না, নেকড়ের চিৎকার! নৃশংসতা!
শাসকের কু-শাসন!
ঘুষ খোরের লোভের অগ্নি!
একই সাথে ভেসে যেত
অসহায়, নিরন্ন মানুষের
বুক ভরা যন্ত্রণা!
হাহাকারও!


ভাবছি--
বাজ পড়ে যদি উড়ে যেত
মতলববাজ, ফন্দিবাজ এর মাথার খুলি,
ধর্মব্যবসায়ী, জঙ্গিবাদের আস্তানা।
তাহলে কেমন হতো?


কে যেন কানে কানে বলে গেল--
সে আশাতেই থাকো।
তোমার জন্য প্রস্তুত আছে
হাসপাতালের বিছানা।
স্বপ্ন ভঙ্গ হলো!
ফিরে পেলাম চেতনা!
উপলব্ধি করলাম--
আমরা উন্মাদ সময় এবং শাসকদের
"পাগলা গারদে আছি।"


৩০/১০/২০২০ ইং