সুগার--
মায়া-মমতাহীন, ভয়ঙ্কর বিষ মাখানো
ছুরি হাতে তেড়ে আসা এক বীভৎস দৈত্য--
যার ছুরির ফলায় লেগে থাকা বিষের ছোঁয়া
উদ্ভিন্ন যৌবনা নারীর গোলাপ রাঙা ঠোঁটের
পেলব পরশ নয়;
নিশ্চিত মৃত্যুর হাতছানি--


বাঁচতে চাইলে নিয়ম করে হাঁটতে হবে রোজ,
খানিক সময় বাঁচিয়ে,
নিত্যকার সংসারের ঘানি থেকে--
রোজ রোজ, হররোজ, প্রভাতবেলা--
সহধর্মিনী বা শ্যালিকার হাত ধরে সুখের হাঁটা নয়;
নয় বন্ধুদের সাথে খোশগল্পের প্রাতঃভ্রমণ,
নয় নাতি-নাতনির হাত ধরে আনন্দ বিহার,
হাঁটতে হবে--
চাবুক খেয়ে টগবগিয়ে ছুটে চলা ঘোড়ার মতো,
নিরন্তর, ঘাম ঝরিয়ে--
কম-বেশি চল্লিশ মিনিট--


ভাববেন না এখানেই শেষ--
সুগারের চরম শত্রু মিষ্টি, ছাড়তে হবে তাও--
ছলনাময়ী, রূপবতী নারীর প্রলোভন
এড়াতে না পারেন ক্ষতি নেই,
জীবন্মৃত হলেও বেঁচে থাকবেন--
মিষ্টির প্রলোভন এড়াতে না পারলে জানবেন,
শ্মশান বা কবরের টিকিট নিশ্চিত--
অবহেলা করার সুযোগ নেই--


সকালে, রাতে রুটি আর মধ্যাহ্ন ভোজে ভাত,
তিন বেলা রুটি খেলে সুখে কাটবে রাত--
চিনি ছাড়া চা খাবেন, চিনিবিহীন বিস্কুট--
টক ফল যত পারেন খেয়ে যান রাত-দিন,
তিতা শাকপাতা খাবেন সপ্তায় সাত দিন--
প্রিয় হলেও মিষ্টি ফল রোজ খাবেন একটাই,
লোভটাকে সামলান,
যতই জিহ্বা টা করুকনা লকলক--
কমলা যদি খেত চান আপেল টা বাদ দিন,
এভাবেই নিয়মটা মেনে চলুন রাত-দিন--


যদি চলেন এভাবে, সুগার টা পড়ে যাবে শঙ্কায়,
দৈত্য টা দূরে থেকে করে যাবে হায় হায়--!
এরপরে কত আছে ডাক্তার, বৈদ্য,
না মানিলে নিয়মবিধি,
বয়ে যাবে শৈত্য--


২১/০৩/২০২১ ইং