কী যে লিখি, পাই না ভেবে, উতলা এ মন!
মন আঙিনায় দেয় ধরা যা, ভাবি অনুক্ষণ
লিখব আমি সে সব কথা-  এসে চুপিসারে
অহর্নিশি কড়া নাড়ে আমার মনের দ্বারে।


নানা রকম পাঠক আছে, হরেক রকম রুচি,
প্রেম-বিরহ যাদের মনে করে খোঁচা-খুঁচি,
ভালোবাসে তারা প্রেমের গন্ধভরা সুর,
জোছনা মাখা প্রেমের ছন্দে আনন্দে ভরপুর।


কারো ভালো লাগে পড়তে মানবতার কাব্য,
প্রকৃতি প্রেম পড়তে কারো মন হয়ে যায় নাব্য।
মাতৃভূমির প্রেমের কাব্য ভালো লাগে কারো,
কারো আবার কাব্যিকতার প্রেমটা ভীষণ গাঢ়।


রূপক বিহীন কাব্য আবার যায় এড়িয়ে কেউ,
রূপক দেখলে কারো মনে লাগে দুঃখের ঢেউ।
ভাবে, যে সব যায় না বুঝা কী হবে তা লিখে!?
কঠিন কাব্য লেখা কবির সুনাম চতুর্দিকে।


আধুনিক এই কাব্য যুগে গদ্যের ভীষণ দাম,
গদ্য লিখতে আমার দেহে ছোটে ভীষণ ঘাম।
মাঝে মাঝে লিখি কিছু নয়তো পড়ার যোগ্য,
প'ড়ে কেউ কেউ মুচকি হাসে, নয়তো উপভোগ্য।


মন গহীনে কষ্ট এসে দেয় কখনো হানা,
কবিতা আর লিখবো না ছাই, ভাবনা দূরে যা না।
দেশ-মানুষের কষ্ট যখন কাড়ে আমার দৃষ্টি,
মনের মধ্যে জেগে ওঠে কাব্য রসের বৃষ্টি।


তাল কেটে যায় শান্ত মনের রক্ত উঠে ছলকে,
লিখি মনে যা আসে তাই পাই বা না পাই কলকে।
ভালো হোক বা না হোক তাতে কি বা এসে যায়,
নিজের মনের কষ্টগুলো খানিক প্রকাশ পায়।


২৯/০৯/২০২১ ইং