আমার গাঁয়ের বটতলাতে বসে রথের মেলা,
ছোট্ট বেলায় ওই মাঠেতে খেলছি অনেক খেলা।
প্রতিবছর আষাঢ় মাসে রথের মেলা বসে,
বড়ো বড়ো কাঁঠাল আসে ভরা দারুণ রসে।


হরেক রকম মিষ্টির দোকান বসে সারি সারি,
যার যে মিষ্টি ভালো লাগে যায় নিয়ে তার বাড়ি।
গরম গরম জিলাপির স্বাদ লেগে আছে মনে,
মন গহীনে সে সব স্মৃতি জাগে ক্ষণে ক্ষণে।


অনেক দোকান বসতো মেলায় নিয়ে নানান খেলনা,
দেখতে লাগতো কী মনোহর! নয় মোটে তা ফেলনা!
মাটির তৈরি জিরাফ, ঘোড়া, মস্তবড়ো হাতি,
দেখলেই মনটা কেনার জন্য করতো আতিপাতি।


মিষ্টি আখের কথা কি আর যায় কখনো ভোলা!
নিতাম কেটে টুকরো করে বানিয়ে গামছার ঝোলা।
মেলায় আসা ছেলে-বুড়ো সবাই মিলে সুখে,
টপ টপ করে রসগোল্লা গিলতো ফেলে মুখে।


কাচের চুড়ি, আলতা-সিঁদুর, হরেক টিপের পাতা,
পাওয়া যেতো রথের মেলায় ভাববে না তা যা তা।
গাঁয়ের ছেলে-মেয়েগুলো মা-বাপের হাত ধ'রে,
খেলনা-খাবার কিনে কিনে নিত কোঁচড় ভ'রে।


বাঁশের বাঁশি কিনে নিয়ে চলতাম বাড়ির পথে,
মনে হতো চলছি সুখে ভেসে হওয়ার রথে।
আজো গাঁয়ের বটতলাতে বসে রথের মেলা,
দূরে বসে হা-হুতাশায় কাটে আমার বেলা।


২১/০১/২০২২ ইং