এই আসরের অনেক কবির লেখা দারুণ সুধাময়,
মাঝে মাঝে দু-একজনে আমার লেখায় মুগ্ধ হয়।
কেউ বা বলে দারুণ লেখা, কেউ বা বলে চমৎকার,
কেউ বা বলে এমন লেখায় থাকতে পারে অমত কার।


মাঝে মাঝে দু-একজনে বলে, কী অসাধারণ!
খুশি হতে মনকে করি কঠিনভাবে খুব বারণ।
কী যে এমন ছাইপাশ লিখি! পড়ে লোকে এই তো ঢের!
খুশি ভাবটা মনের থেকে দাঁত কেলিয়ে হয় যে বের।


চোখ রাঙিয়ে মনকে বুঝাই চুপটি করে লিখে যাও,
আত্মতুষ্টি ডুবিয়ে দেয় হাঁটু জলে বড়ো নাও।
তুমি তো ভাই চুনোপুঁটি লেখার রাজ্যে নাবালক,
সাধন ছাড়া কোন কাজে হয় না কেউ যে সাবালক।


দু-চার পাতা পদ্য লিখেই যায় না হওয়া কবি যে!
তোমার লেখা পড়ে যখন বলবে সবাই নামটি হে,
ভাববে তখন হয়তো তুমি কবি হওয়ার যোগ্য খুব,
তার আগে ভাই কাব্য লেখার গহীন জলে দাওনা ডুব।


ডুবে থাকো কাব্যরসের সিন্ধু জলের অতলে,
কবি হওয়ার স্বপ্ন পূরণ হতে পারে সবলে।
কেউ তোমাকে ভালো বলে, কেউ তোমাকে বলে না,
ওসব কথা মন গহীনে জায়গা দিলে চলে না।


রবীন্দ্রনাথ, কাজী নজরুল লিখেছিলেন কবিতা,
তাঁদের সৃষ্টি মাঝ আকাশে দিপ্তীময়ী সবিতা।
যদি তাঁদের উত্তরসূরি চাও হতে এই জীবনে,
অহমিকা কবর দিয়ে যাও না লিখে এক মনে।


০৭/১০/২০২১ ইং