সময়ের দুষ্টচক্রে আবদ্ধ আমরা,
ভাগ্য নিয়ে হয় সারাক্ষণ হোলি খেলা--
পুবের শীতল হাওয়া পশ্চিমে গিয়ে উষ্ণতা আনে,
কিন্তু গরিব মানুষের দুঃখের হাওয়া অপরিবর্তিত--
শীতের কুয়াশামাখা রাতে ওরা শীতে জুবুথুবু,
আর রোদেলা দুপুর পোড়ে অগ্নিসম সূর্যতাপে--
গনগনে আগুন নিভিয়ে দিতে পারে ঝোড়ো বৃষ্টি,
কিন্তু ক্ষুধাতুরের ক্ষুধার আগুন নেভাতে পারে না,
দাউ দাউ করে জ্বলে; যেন খাণ্ডব বন--
এদেরই কষ্টঘামে অর্জিত সম্পদ দিয়ে
শীততাপ নিয়ন্ত্রিত কক্ষে মদে মত্ত হয়ে
স্বেদ বারি ছোটায় অহংকারী, অকৃতজ্ঞ নপুংসক--


ধরার বুকে নেমে আসুক গনগনে রোদের বৃষ্টি,
জ্বলন্ত চিতার মতো জ্বালিয়ে-পুড়িয়ে খাক করে দিক
সমস্ত সুখের প্রাসাদ--
এক কাতারে মিশে যাক ধনী-দরিদ্র, সুখি-দুখি,
শিক্ষিত-অশিক্ষিত, নেতা-প্রজা সবাই--


তারপর শুরু হোক "সাম্যবাদী ঘূর্ণিঝড়--"


দেখতে চাই--
দুর্বিপাকে কারা টিকে থাকে--
ক্ষমতার অলিন্দে বসে থাকা দুগ্ধপোষ্য শকুন--
পরার্থে জীবন উৎসর্গকারী খেটে খাওয়া
মানুষদের যারা ঘৃণা করে, অবজ্ঞা করে, তারা--


নাকি ভুখা-নাঙ্গা, হতদরিদ্র, রোদে পোড়া মানুষ--


০২/০৩/২০২১ ইং


০২/০৩/২০২১ ইং তারিখে শ্রদ্ধেয় বরেণ্য কবি নরেশ বৈদ্য মহাশয়ের কবিতা "এখনি বিদায় বলো না" তে কমেন্ট করতে গিয়ে প্রথম চারটি চরণ লিখেছিলাম। তাই কবিতাটি শ্রদ্ধাভাজন কবি নরেশ বৈদ্য-কে উৎসর্গ করলাম।