নিরিবিলি বসে আছি নেই কোনো কাজ,
মনে পড়ে সেদিনের সেই রাঙা সাজ।
তুমি ছিলে দরজার ওপাশে দাঁড়িয়ে,
ডালিমের মতো লাল অধর রাঙিয়ে।


দুই হাতে লাল চুড়ি ঝন্ ঝন্ বাজে,
লাল ভালে লাল টিপ মরছো যে লাজে।
আজিকার মতো ছিল সেদিনের রাত,
দিনে-রাতে ঝর্ ঝর্  ঝরে বারিপাত।


শ্রাবণের বারিধারা ঝরিছে নিদয়,
পর্দার আড়ালে বুঝি তোমার উদয়।
সম্মুখে এসে যে তুমি চাও ধরা দিতে,
হাবে ভাবে আচরণে পারি বুঝে নিতে।


মনে মনে জপেছিলে দেবতার নামে,
অবিরল বারিপাত যেন নাহি থামে।
মনে হয় ভেবেছিলে গভীর নিশিতে,
আমার আলয়ে তুমি আসিবে তুষিতে,


শশীকলা শশী তুমি দেবতার দান,
দেবতা যে রেখেছিল তোমার সম্মান।
গভীর নিশীথে আমি ঘুমে অচেতন,
দারে এসে করাঘাতে করো সচেতন।


ভয়ে ভুলে যাই আমি দেবতার নাম,
যমালয় সম গনি এই পূণ্য ধাম।
আলো জ্বেলে চুপিসারে দোর খুলে চাই,
অপরূপ সাজে তুমি তুলনা যে নাই।
নিশি রাতে মোহময়ী দেখে ওই মুখ,
সুন্দরী অপ্সরী ভেবে কী যে লাগে সুখ!


ওষ্ঠাধার রক্ত লাল নয়নে অঞ্জন,
সুখ হাসি মুখে ফোটে উল্লসিত মন।
রূপ দেখে সব ভুলে যাই ধরতে হাত,
তখনি নীরবে করো শেষ প্রণিপাত।


ওই দেখা শেষ দেখা ভাবিনি তখন,
মায়া মরীচিকা হয়ে মিলালে যখন।
অতঃপর কেটে গেছে কত দিন মাস,
হৃদয়ে রয়েছে জেগে সেই পরিহাস।


০৩/০৮/২০২০ ইং