কী অদ্ভুত সৃষ্টি!
সাগরের জলরাশি ভূতের লেজের মতো কুণ্ডলী পাকিয়ে উঠে যায় নীল নীলিমায়
অদৃশ্য ডানায় ভেসে বেড়ায়
যেন ভাসমান ভেলা
সাদা-কালো-গাঢ় হরেক রঙের মেঘ
মেঘে মেঘের ঘর্ষণে জ্বলে উঠে হুতাশন রাশি
বজ্রবিদ্যুতে প্রকম্পিত হয় মেদিনী
ভীতা হরিণীর মতো কেঁপে ওঠে নিঃসঙ্গ রজনী
বটের ঝুরির মতো আকাশ থেকে ঝর ঝর করে ঝ'রে পড়ে চঞ্চলা মেঘের কণা
প্রথমে ফোঁটায় ফোঁটায়
যেন লজ্জাবতী গ্রাম্য বধূর পথ চলা
ধীরে, শান্তভাবে
তারপর অবিরল ঝরনা ধারায়
আবার কখনো কখনো নেমে আসে
চঞ্চলা বালিকার উদ্দাম নৃত্যের তালে প্রবল বেগে
এ যেন ষোড়শী যুবতির সুচিক্কন যৌবনা হাসি
ভিজে যায় মাঠ-ঘাট উদম প্রান্তর
অনায়াসে ভিজে যায় অভুক্ত সন্ন্যাসী মন
আনমনে বসে বসে ভাবি অনুক্ষণ
কে তুমি বাজাও বাঁশি অলক্ষ্যে আসি?
পারো না কি ছুঁয়ে যেতে অহংকারী মন?
কে পারে সৃজিতে এমন মধুময় রূপ?
সাধ্য কার এঁকে দিতে পারে মনে জলছবি ধূপ?


১৫/০৫/২০২২ ইং