এই জামানার অনেক মেয়েই বাঁধতে সুখের ঘর,
খুঁজে বেড়ায় মা-বাবাহীন একটি এতিম বর।
চড়ুই পাখির মতো উড়বে থাকবে না তো দায়,
কেউ না থাকুক বলার মতো এটাই শুধু চায়।


যেমন খুশি পরবে পোশাক দেখাতে খুব ঠাট,
শরীরটাকে উদম রেখে সাজবে বড়ো লাট।
অসংলগ্ন এমন পোশাক ভাল্লাগে আর কার!
শশুর ও শাশুড়ি বাধা, তাই করে দেয় বার।


কর্তব্যবোধ শেখালে কেউ বলে দিচ্ছ জ্ঞান,
আমার কিসে ভালো হবে জানি আমি, ম্যান।
শ্বশুর-শাশুড়িকে ভাবে উটকো ঝামেলা,
তাড়িয়ে ওদের বৌমা খেলে নিদারুণ খেলা।


সন্তান গর্ভে ধারণ করলে শাশুড়ি দরকার,
গর্ভবতী মায়ের সেবা কে করবে বল আর!?
বেঁচে থাকলে নিজের মাকে আনবে পাহারায়,
নতুবা শাশুড়ির ঘাড়ে চাপায় এমন দায়।


সন্তান একটু বড় হলে বাজার করতে লোক,
শ্বশুর কিংবা দেবর দরকার নইলে হয় খুব শোক।
ইশকুলে পাঠাতে সন্তান কাকা-দাদু চাই,
কাজ ফুরালে তাড়িয়ে দিয়ে তোলে সুখের হাই!


এমন সুখের বিন্দাবনে থাকতে কি মন চায়?
দারা-পুত্র বিহীন যারা আনন্দে গান গায়।


২৬/০৪/২০২২ ইং


"বৃন্দাবন" সনাতন ধর্মাবলম্বীদের জন্য অনন্ত সুখের জায়গা, শান্তির জায়গা। কবিতায় বৃন্দাবনের পরিবর্তে "বিন্দাবন" লিখেছি। কারণ, কবিতায় সুখের নয়; কষ্টের কথা বলা হয়েছে।