কষ্ট আমাকে দেয় না কষ্ট পাইনা ব্যথা এ মনে,
কষ্টরা সব কষ্টেই আছে বসে বসে দিন গনে।
আমি তো রয়েছি বৃদ্ধাশ্রমে সুখে ভরা সব দিন,
চোখের আলো নেভেনি আজো দেখতে পাই যে ক্ষীণ।
তোর আশাতে প্রহর কাটে আসবি কবে রে বাপ?
তোকে না দেখে চলে যাই যদি থাকবে হৃদয়ে তাপ।
তুইতো আমার অন্ধের যষ্টি হৃদয় দোলানো সুখ,
কি করে আমি থাকব ভালো না দেখে তোর ঐ মুখ?
তুই কি ভালো আছিস রে বাপ? খাস কি সময় মতো?
তোর অভাবে বুকের মাঝে জেগে ওঠে কিছু ক্ষত।
আসবি বলে সেই যে গেলি আমি বসে গুনি দিন,
দিনে দিনে আমি বিছানার সাথে যাচ্ছি হয়ে যে লীন।
একলা ফেলে তোর বাপ আমায় গিয়েছে কবেই চলে,
তোকে ছাড়া আর কাটেনা সময় কী হবে রে ব্যথা বলে!
যমরাজ এসে শিয়রে দাঁড়িয়ে বলছে উপরে চলো,
বুঝানু তাকে ছেলেকে না দেখে যাই কি করে বলো?
কী এমন কাজ? কিসের ব্যস্ততা?
পড়ে নাকি মনে মাকে?
তোর কথা ভেবে তিলের নাড়ু তুলে রেখেছি ঐ তাকে।
বৃদ্ধাশ্রমের কোলাহল আমার লাগেনা মোটেই ভালো,
তোকে কাছে পেলে, তোর ছোঁয়া পেলে
ফুটত নয়নে আলো।
মনে কি পড়ে না? ছেলেবেলায় যখন
ধরতি জড়িয়ে গলা,
আদরে, সোহাগে ভরিয়ে দিতাম শেখাতাম কত কলা।
ক্ষুধার জ্বালায় কাঁদতি যখন ফেলে দিয়ে সব কাজ,
বুকেতে জড়িয়ে আদরে খাওয়াতাম
ভুলে গেছিস সব আজ?
দেহের কষ্ট, মনের কষ্ট সব হয়ে গেছে ছাই,
যাবার আগে একবার তোকে দেখে যেতে শুধু চাই।


কোজাগরী রাতে মায়ের ডাকে এসেছে ছেলে ফিরে,
কাঠের খাটিয়ায় শুয়ে আছে মাতা
ফিরে গেছে সুখের নীড়ে।


২৭/১১/২০২০ ইং