শান্ত বৃষ্টির অবাধ্যতা ভেজায় চরাচর,
আধ ঘুমো চোখ দৃষ্টি মেলে বস্তির ভাঙা ঘর।
রবির কিরণ বন্ধ আজি অন্ধ জনের মুখ,
অন্ধকারে হাপিত্যেশে পায় না খুঁজে সুখ।


চাঁদ কপালী মহাজনের ফোকলা দাঁতের শিস,
যেন শিবের গাজন দিয়ে ছড়ায় নগ্ন বিষ।
অভুক্ত জন আহার খোঁজে ভাঙা ঘরে ঠায়,
উদ্বৃত্ত যার আহার তিনি আনন্দে গান গায়!


বৈপরীত্যের নগ্ন বীজে মগ্ন পৃথ্বী আজ,
গা উজাড়ী ঠকবাজেরা করছে সুখে রাজ!
আকাশ ভালে মেঘের গালে পড়ে না তো টোল,
সমাজ দেহে দুর্যোধনদের মুখে হরিবোল!


ছন্নছাড়া লোকের সুখে যারা করে কাজ,
ললাট তাদের ঢেকে রাখে মিথ্যে দোষের লাজ।
ভালো কাজে হাজার বাধা রন্ধ্রে রন্ধ্রে দোষ,
ধড়িবাজদের পায় না খুঁজে কালের রুদ্র রোষ!


প্রকৃতি আর ধান্দাবাজের মাঞ্জামারা তাল,
দেশ ও দশের কপাল জুড়ে যেন সুয়েজ খাল!
জুলুমবাজের গোলাম যারা তারা সুখে রোজ,
আমজনতার আমসত্ত্ব খায়, খামখেয়ালি ভোজ!!


অপরাধের কনক চূড়ায় যারা করে বাস,
তাদের তুষার শুভ্র হাসি গরিব লোকের ফাঁস!
এমনি করেই কালের গালে খেঁক শিয়ালের হাত,
বুলিয়ে পায় সুখে থাকার অনন্ত বরাত!!


২৩/০৮/২০২২ ইং


বিঃ দ্রঃ আজ সকালে বাতাস বিহীন নির্ঝঞ্ঝাট বৃষ্টি উপভোগ করতে করতে এ লেখাটা লিখলাম।