মায়ের মতো এই জগতে ভালো কি কেউ বাসে?
দুঃখ শোকে মা ছাড়া কেউ থাকে সদাই পাশে?
ঝড় বাদলে আঁধার রাতে দেখবে হাসিমুখ,
পুত্র কিসে থাকবে ভালো সে ভাবনাতে সুখ।


পাখি যেমন ডানার নিচে নিজ বাচ্চা রাখে,
মায়ে তেমনি আঁচল দিয়ে আপন বাছা ঢাকে।
নিজ মুখের আহার মায়ে খোকাকে দেয় বেটে,
খোকার সুখে সারা জীবন মরছে খেটে খেটে।


আমার মায়ে অন্য মায়ে নেইতো কোন ফাঁক,
পুত্র যদি পীড়িত হয় লাগে যে হাকডাক।
খোকার কোন অসুখ হলে মা থাকে নির্ঘুম,
ঠাকুর ঘরে অর্ঘ দিতে পড়ে ভীষণ ধুম।


পুত্র যদি বিদেশ থাকে চিন্তা করে মায়,
সুস্থভাবে আমার ছেলে আসুক ফিরে গাঁয়।
দিন-রজনী মায়ের মনে চিন্তা জাগে কত!
সময় মতো খায় কি ছেলে ভাবনা অবিরত!


ছেলে যতই হোক না বড় মায়ের কাছে শিশু,
ঠাকুর ঘরে ভিক্ষা মাগে হয় না যেন কিছু।
বয়স কালে সকল মায়ে চায় ছেলেকে কাছে,
এমন আছে অনেক ছেলে পায়না মায়ে পাশে।


এমন মাকে অনেক ছেলে দেয় না খেতে ভাত,
মনের দুখে রাস্তা-ঘাটে কাটে যে তাঁর রাত।
কেউ আবার ছেলের মারে ছাড়ে নিজের বাড়ি,
ভিক্ষা করে রাস্তা-ঘাটে পড়ছে চাপা গাড়ি।


কিছু ছেলের ভুলের পিছে থাকে আরেক নারী,
বধূর ভয়ে তাইতো ছেলে চায়না যেতে বাড়ি।
মায়ের কথা ভুলে পুত্র দারার কথা শোনে,
পরকালের কথা মোটেই পুত্র নাহি গোণে।


মাতা-পিতায় যেসব ছেলে দেয় না ভালোবাসা,
বৃদ্ধকালে নিজ পুত্রে থাকে কি তার আশা?
ভালোবাসার বিনিময়েই আসবে ভালোবাসা,
নইলে শেষে বৃদ্ধকালে থাকবে নাকো ভাষা।


২৫/০৭/২০২০ ইং।