একদিন পথে দেখেছি শায়িত একটি বৃদ্ধ লোক,
পরনে রয়েছে দামি দামি সাজ আকাশের দিকে চোখ।
মারিগুটিকায় ছেয়ে গেছে তার সর্ব অঙ্গখানি,
ঘন ঘন তার বহে নিঃশ্বাস চোখেতে গড়ায় পানি।


অসুস্থ হয়ে পড়ে গেছে পথে খুঁজে না তো কেউ তাকে,
যন্ত্রণায় সে ছটফট করে চায় সে পথের বাঁকে।
আসে যায় কত শত শত লোক পথের উপর দিয়ে,
এমন মানুষ আসেনা কেহই যাবে তার খোঁজ নিয়ে।


সকাল গড়িয়ে দুপুর গড়ায় এলো যে সাঁঝের বেলা,
চারপাশে তার ঘিরেছে মানুষ বুঝি বা চলছে মেলা।
এমন সময় ভিড় দেখে সেথা এলো এক বোকা মেয়ে,
মনে জাগে তার সুপ্ত বাসনা কি আছে দেখবে চেয়ে।


ঠেলে ঠুলে লোক অধীরে সে ঢুকে সুমুখে বাড়ায় চোখ,
ধুলোর উপরে মলিন বসনে পড়ে আছে এক লোক।
চোখের দৃষ্টি আকাশের পানে নীরবে গড়ায় জল,
ভিড় করে সবে দেখছে কেবল হাসে কেহ খল খল।


এমন করুণ দৃশ্য কখনো দেখেনি মেয়েটি আগে,
তামাশা দেখে সে বৃদ্ধের মাথা কোলে তুলে নেয় রাগে।
নীরবে তাকায় চারদিকে মনে খুঁজছে একটি গাড়ি,
অসহায় এই বৃদ্ধ লোককে নিয়ে যাবে তার বাড়ি।


সেবা দিয়ে আর ভালোবাসা দিয়ে সুস্থ করবে তাকে,
অসহায় ছাড়া পথের ধুলায় দেখা যায় কবে কাকে?
হঠাৎ একটি গাড়ি পেয়ে তাতে লোকটিকে তুলে বলে,
কেউ কি তোমার নেইকো আপন এই ধরনীর তলে?


মেয়েটির এই স্নেহ-আদরে জলে ভরে তার আঁখি,
সকলি আছিল সকলে গিয়েছে দিয়েছে আমায় ফাঁকি।
মেয়েটি তখন বলল আদরে ভয় কোরনা তো কিছু,
জগতে আমার আপন তো নেই, নেই কোন টান পিছু।


পিতা হয়ে তুমি থাকবে আমার বাসবো তোমায় ভালো,
আমার ভাঙ্গা আন্ধা কুটিরে জ্বালাবে তুমি যে আলো।
মেয়ের কথায় ভুলে গেছে ব্যথা মুখে ফোটে সুখ হাসি,
তুমি যে আমার হারানিধি মাগো তোমাকেই ভালোবাসি।


১৪/০৭/২০২০ ইং