মেয়েটি দাঁড়িয়ে ছিল চৌরাস্তার মোড়ে
আলো-আধাঁরির সীমানায়
ভাসন্ত গনিকা--
ঠোঁটে টকটকে লিপিষ্টিক
সামান্য উগ্র সাজ-পোশাক
বয়সে নবীন
যেন সদ্য বৃন্তচ্যুত রঙিন গোলাপ
বেশ খানিকটা জৌলুস রয়েছে চেহারায়
একজন খদ্দের ধরার প্রত্যাশায় অপেক্ষমান
মরচে পড়া সমাজ এবং রাষ্ট্রের উচ্ছিষ্ট ওরা
ঘরে বিকলাঙ্গ রোগ জিরজিরে মা
আছে ছোট্ট একটি ভাই ও একটি বোন
বেহেড মাতাল, অকর্মণ্য, ভবঘুরে বাপ
মেয়ের বয়সী অন্য কোন নরীর হাত ধরে উধাও
মায়ের চিকিৎসা
ছোট ভাই-বোনের পড়ালেখা
সবার ভরণ-পোষণ-  চালাতে হয় ওকেই
বাধ্য হয়ে, বে-আব্রু হয়ে দাঁড়ায় রাস্তায়
সুলভ পণ্যের মতো বিক্রি করতে আপন দেহ
সভ্য সমাজের নাকের ডগায়--
জীবিকার প্রয়োজনে জীবন উৎসর্গ


কত ভদ্রলোক রাতের প্রহর কেনে ঘুষের টাকায়
বারাঙ্গনার উরুসন্ধিতে খুঁজে আঁধারের সুখ
পরদিন মঞ্চ কাঁপিয়ে ওরাই গায় মানবতার জয়গান
দেয় চারিত্রিক সনদপত্র
দিবালোকে এইসব ভদ্রলোকেরাই
ওদের গালি দেয়- বেশ্যা, বারবনিতা বলে
হাত তালির তুবড়ি ছোটে জনতার ভিড়ে
বেরিয়ে পড়ে বেশরম সমাজ ব্যবস্থার উলঙ্গ কঙ্কাল--


০১/০১/২০২২ ইং