কে বলে রে সবাই অন্ধ! সবাই বধির! সবাই বদ!?
এখনো কেউ ভালোবেসে দিচ্ছে ঢেলে আমায় মদ!
বলছে হেসে আরেকটু খাও, মাতাল হলে কীসের দোষ!
সুস্থ লোকের বক্ষ জুড়ে হাজার ব্যথার রুদ্র রোষ!!


সমাজ জুড়ে দেখি হাজার ছলা-কলার দামামা,
পরের ক্ষতি ক'রে কতেক গায়ে জড়ায় সুখ জামা।
জবর-দখল, হুমকি-ধামকি গরিব লোকের পুচ্ছে বাঁশ,
শান্তিবাদী মানুষগুলোর ললাট জুড়ে দুঃখ ফাঁস।


পরের গিন্নি নিয়ে কতেক বাঁধে সুখে নতুন ঘর,
স্বামী-সন্তান রেখে কেউ বা কব্জা করে নতুন বর।
পচা ডিমের চেয়ে এমন কাণ্ড অধিক গন্ধময়,
তাইতো মাতাল হয়ে নাচি ভারতনাট্য ছন্দময়।


বাপে বলে চাকরি করো, মায়ে বলে নেই তো ভাত,
তার চেয়ে এই বেশ তো আছি মত্ত হয়ে কাটাই রাত!
ধরিত্রী এ মায়ের বুকে শান্তিতে দেই নিপাট ঘুম,
ভোরের সূর্য আমার ভালে দেয় বুলিয়ে আলতো চুম।


দুঃখ-অভাব যায় পালিয়ে, হেসেই বলে সুদেব, বাই!
লিভার না হয় একটু বেশি প'চে-গলে বলছে যাই!
পড়ালেখা ক'রে কি আর যায় যাওয়া ওই স্বর্গে হে!
সুরার স্নেহে স্বর্গে যাওয়ার পথ হয়ে যায় ছোট্ট যে!!


যার যা খুশি ভাবতে পারে কী এসে যায় তাতে বল!?
হৃদয় যদি বিকল থাকে যায় কি ধরা কারো ছল?
জীবন নাট্যের খেলা ঘরে একটু থাকা আনন্দে,
পুতুল নাচের ইতিকথায় কী লাভ বলো হয় দ্বন্দ্বে?


ছলা-কলার বিষ ঢেলে কেউ যায় যদি রে পালিয়ে,
শরাব ছাড়া সাধ্য কার বল দুঃখ ভোলায় জ্বালিয়ে?
তাইতো আমি মত্ত থেকে যত্নে সরাই দুঃখ বোধ,
তোমরা কেন মাতাল ব'লে করো আমার কন্ঠ রোধ?


বিদ্যার জোরে তোমরা সুখে মানুষ ঠকাও, করো খুন,
মাতাল হলেও আমার কিন্তু নেই তোমাদের অমন গুণ!
তাই তো আমি মাতাল হয়ে রোজ ক'রে যাই মাতলামি,
আমার সাকি মদ ঢেলে দেয়, ভালো আছি এই আমি।


০৭/১১/২০২২ ইং