প্রবল জোয়ারে ভাঙছে নদীর উঁচু-উঁচু সব পাড়,
মাঝ দরিয়ায় কান্ডারি বসে নাড়ছে নীরবে ঘাড়।
সাজানো-গোছানো বাগান যে তার ঘূর্ণিবায়ুতে নড়ছে,
টুপ টুপ করে শুকনো পাতারা আপন খেয়ালে ঝরছে।


জোয়ারের জলে তৃণের মতোই যাচ্ছে সবই ভেসে,
রঙ তামাশার রঙ্গ মশাল জ্বালছে অপরে হেসে।
অহমিকা জালে জড়িয়ে নিজেকে ভেবেছো রাতের চাঁদ,
তোমার জন্য রয়েছে বিছানো মায়াময় এক ফাঁদ।


সময় থাকতে করনি খেয়াল ঘুন যে ধরেছে ঘরে,
ভেবেছ এভাবে কাটবে সময় বলুক যা বলে পরে।
ঘরের ইঁদুর কাটছে বাঁধন সইতে না পেরে হেলা,
নিঠুর পীড়নে খেলছে এখন নিদারুণ পাশা খেলা।


ইঁদুরের পাল নেশায় মাতিয়া করেছে মনে যা চায়,
খাবার দিয়েছ পঙ্গপালেরে ভেবেছ সেরেছি দায়।
কান্ডারি তুমি ভেবেছো সবাই তোমার প্রেমেতে বুদ,
তোমার ধমকে জনগণ খাবে যদি দেয়া হয় খুদ।


মানবতা আর নিরপেক্ষতা তোমার মুখের বুলি,
জনগণ বোকা এ কথা ভেবেই ভরেছ নিজের ঝুলি।
তোমার লেবাস বোঝেনি মানুষ যদি ভেবে তুমি থাকো
আঁধার গারদে থাকবেই তুমি এই কথা মনে রাখো।


আত্মগরিমা চূর্ণ হবেই ভাঙবে রসের মেলা,
ভাঙা এ মেলার পথের ধুলায় কাঁদবে বিদায় বেলা।
ভাঙবে তোমার বালির প্রাসাদ মোহের আগুনে পুড়ে,
দেখবে আগুন জ্বলছে নীরবে পূর্ণ হৃদয় জুড়ে।


২৯/১১/২০২০ ইং