যৌতুক এক সামাজিক ব্যাধি
নারীর চোখের জল,
যৌতুকলোভী জানোয়ারগুলো
হাসে শুধু খলখল।


প্রতিদিন কত নারীর হৃদয়
ভেঙ্গে হয় খান খান,
স্বামী, শ্বশুর, শাশুড়িরা বলে
এটা আন, ওটা আন।


দেশজুড়ে কত হাজার নারী
গুমড়ে গুমড়ে কাঁদে!
নররূপী সব পশুদের কাছে
পড়েছে ভীষণ ফাঁদে।


মেয়ের বুকের বোবা কান্নায়
বাপের কান্না আসে,
শোধিতে পারে না জামাতার ঋণ
কষ্টের হাসি হাসে।


শ্বশুর বাড়ির লোকগুলো সব
যৌতুকলোভী যম,
বকেয়া পণের শাস্তি হিসেবে
খেতে দেয় খুব কম।


পণের কারণে প্রতিদিন নারীর
খেতে হয় কত মার!
পেটে নেই ভাত, শরীরে আঘাত
বোবা কান্নাই সার।


ক্ষুধার জ্বালা, আঘাতের জ্বালা
কতবা সইবে নিত্য!
ভাগ্যের সাথে মিতালি করিয়া
হয়েছে তাদের ভৃত্য।


স্বামীর সোহাগ, সন্তানের ডাক
পাওয়ার খুব লোভ,
পশুদের আঘাত আপন করিয়া
ভুলেছে নিজের ক্ষোভ।


এতো সহিয়াও পারেনা লভিতে
স্বামীর ভালোবাসা,
মৃত্যুর সাথে মিতালী করিতে
মনে জাগে বড় আশা।


যৌতুকের জ্বালা না পেরে সইতে
কত যে নারী দেশে,
মৃত্যুর সাথে মিতালী করেছে
মৃত্যুকে ভালোবেসে।


এমনি করেই প্রতিদিন ঝরে
কত নারীর প্রাণ!
যৌতুকলোভী জালিমের তাতে
যায় না কোন মান।


যৌতুকলোভী জানোয়ার গুলোর
দেখি যে চাঁদের হাট,
এ জীবনে কভু হবেনা কি শেষ
যৌতুক বিভ্রাট?


২৮/০৬/২০২০ ইং।


জালিম--জুলুমকারী, উৎপীড়ক।
বিভ্রাট--আপদ, সংকট।


(আসুন সবাই যৌতুকের বিরুদ্ধে সোচ্চার হই)