আজ উদ্বাস্তু হয়ে যায় সময় ঘড়ি
মনে করি স্মৃতিচারণ, বর্ণনাতে বলেছিলি সম্ভবনা,
আমি এই বেশ তো এখন! আবেগ বেচে খাই
খুঁজতে যাই না জোড় সন্ধির প্রগাঢ় সম্ভাবনা ।।


তবু তো ভালবেসেছিলাম কখনো
হীনমন্যের জোড়াতালি দেয়া আমি মানুষটা অদ্ভুত,
এখন পাশে শোয় তোর ধনকুবের দুলাল
স্বামী বলেই কি চালিয়ে নিস দেমাগ ভারী ভূত ??


নাহ্ ব্যগ্রতা নাহ সত্যি সত্যিই
আমার বড্ড কেমন কেমন লাগে জানিস তো!
আজকাল তোর চেহারায় কিসের যেন কমতি
আগে নিয়ন আলোর জ্যোতি মুখে স্পষ্ট থাকতো।


থাক এখন ওসব!
আমার খুচরো আহাজারিতে তোর কি এসে যাবে আর
নগণ্য যোগ্যতার মানুষ আমি প্রাক্তন যে!
অর্থের কাছে একাগ্রতায় বিকিয়েছিস রুপের বাহার।।


জানিস? এখন আমার যোগ্যতা আছে
তোর পরিবারের লোক আমায় দেদারসে সম্মান দেয়!
সময় মানুষকে সময়ের হিসেবেই বদলায়
কালোর শেষে আলো এসে ইতি টানে আঁধার অধ্যায়।


তবে সত্য এটাই তুই নেই আর
নারীর সৌন্দর্য পুরুষের কাছে, প্রসাধনীতে না
এই যে তুই কাঁদছিস গোলাপ রাঙা হয়েও!
রাজত্ব ঠিক করছে সে মেয়ে যে ভেঙে ফেলতো আয়না।


মুখ জুড়ে বসন্তের দাগ আর ব্রনের গিরিখাত
আমি তবু পরম যত্নে তাকে কাজল পড়তে বলি
নির্ভেজাল তৃপ্তি নিয়েই সে শুনে বুকের ধুকপুকানি
অচেনা পথই চেনা তার খুব; এ যে নিজের শহরতলি।


মাঝেমধ্যে তোর মতই মান করে বসে
বিলাপের সুরে কত কথা সে আমার যোগ্যই না
আমিও বলি দরদাম তো পণ্যের হয়, শুনে হাসে
তোর কথাও বলি যার আমি যোগ্য ছিলাম না।


প্রাচীর জুড়ে সেই পোড়া ইটের দাগ আর নেই
রোদ-বৃষ্টির ঝাপটায় আজ শেওলা জমে আছে,
তারপরও সে বায়না ভরে অতীতে নিয়ে যায়
নগ্ন পায়ে শাড়ির পাড় গুছিয়ে হাঁটে পাছে পাছে।


ভেবেছিলাম তোর জায়গায় কেউ আসবে না হয়তো
পক্ষান্তরে মরুভূমির বুকে সে সবুজ চারাগাছ
তোকেও ভালোবাসি আর তাকেও ভালোবাসি
এক অধিকারের আরেক অনধিকারের বলতে কি লাজ।


সে যাই হোক আমি প্রাক্তন তোর!



কলমেঃ রনি পারভেজ (#JD_কাবলিওয়ালা)


পটভূমিঃ আমার এক সহপাঠির জীবনের বাস্তব অভিজ্ঞতা থেকে কবিতা লিখেছিলাম। আর অবশ্য এটা বন্ধুর অনুরোধের প্রেক্ষিতেই লিখা।