অভিলাষ তার বাঁধা নাও; নোঙর ছিঁড়তে তায়
নিষ্প্রভ নির্মল চোখ জানে না ঘুমিয়েছিল কবে‘
অতন্দ্রিত খোয়াব তবু নীরবতা ভাঙ্গে শনশন বাতাস
মাস্তুল দাগাতে গচ্চা গেছে পুঁজি, এখন কি হবে?


সওদার বাজারে নেই কিছু নান্দনিকতার বাইরে
অগত্যা এই বেখাপ্পা মুখের কি-বা মূল্য আর-
সেই হেতু পাড়ি দিয়ে আকস্মাত মাঝ দরিয়ায়
থ' হয়ে স্থির আঁখি যুগল; সেকি রুপের বাহার!


কুয়াশা কুণ্ডলীর চাদর চিড়ে এগিয়ে কিছু দূর
দৈত্যাকার ফটকে নিয়ন আলো মিটমিট জ্বলে,
নীল রেশমের 'পরে মুক্তোর দানার বাহারি আচ্ছাদন
তোষামোদে পঞ্চমুখ কতক জল পরীর দলে।।


লেগে আসে চোখ যেন তনু নেতিয়ে যায়
ক্লান্ত পরিশ্রান্ত আমি; বিভোর ঘুমে মত্ত-
ফিরেছে সজাগ ক্ষানিক বাদে; রাশি রাশি আলসেমি
সেই দোলনের মাদকতায় খেই হারিয়ে সমস্ত।


না দেখেছে কেউ তা, না শুনেছে কভু
বর্ণনার জন্য হাজার শব্দও যেন যথেষ্ট নয়,
সুবিশাল অট্টালিকা খণ্ড ইটের জোড়াতালি শুধু
জনাকীর্ণতা পাইনি; পাবো কিনা হচ্ছে সংশয়।


ঘুরিয়েছি চোখ কয়েক পাক দিয়ে
দিগ্বিদিকের দৃষ্টি ফিরেছে ঠিক বিধ্বস্ত হয়ে,
এ কেমন নগরী! নিষিদ্ধ না তো?
যেন দম নিতে চাচ্ছি মৃত বক্ষ ছাতির আশ্রয়ে!


পরক্ষণেই চিন্তা মাথায় এ আর এমন কি;
বাস্তব জগতেই বা প্রশান্তি কোথায় জলের দামে,
উকুন সেজে নাছোড়বান্দা আমজনতারে শুষে
না জানে বস্ত্র গায়ের পালাক্রমে ভিজে শুকিয়ে ঘামে।


চৈতন্যবোধ সে বিকিয়ে গেছে সেকেলের দু আনা
বড় বাবু আছে ছোট বাবু আছে, অগত্যা মোর অজ্ঞাত পরিচয়,
খেয়ে পরে দুবেলা বাঁচার আশে তাতেই গুঁটিবাজি
এরচে বরং এই নগরী তেলেসমাতির নয়।
****************************************
মা!! আব্বা পরে আছে
চিৎকার সেই ক্রন্দনরত হতবিহ্বল শিশুটার!
আক্ষেপের কি আর তোষামোদ হবে কুপির আলোয়
মূল্য না চুকাবে কেউ এই নিথর শরীরটার!


লেখকঃ রনি পারভেজ (#JD)
সময়কালঃ ০৭-০৩-২০২২