আমাকে নাও; নেবে তো আমায়?
আমার দিব্য দৃষ্টির প্রখরতায় মোহ আছে দুরন্তপনার
আছে সৃষ্টি-আবেগ-অশ্রু টলমলে লবনাক্ত
এতটুকু আর্জিতে কোলে নাও, মোর ছোট্ট আবদার।।


আমি চিনি না অত বুঝিনা কিছুই
জন্মেছি পেটের প্রাচীর চিড়ে আলো দেখতে,
আচমকা তাসের ঘর ভেঙেছে চাকায় পিষ্ট হয়ে
মৃত শরীরের জীবন্ত আত্মা কে পারে ভাবতে?


নাম করণ পূর্বেই ডাকনাম অভাগী আমার
শহর জুড়ে রটে গেছে কত শিরোনাম!
এই দ্যাখো! খর্ব মেয়ের হাতটাও ভাঙা;
এতিম, পঙ্গু আমার কত ডাকনাম।


আজকে আমি শিরোনাম বলে মুখে মুখে কথা
আমার আগেও এতিম ছিলো হাজারে হাজার,
তারা টোকাই রাস্তায় ঘুমায় খবর বাটে দ্বারে দ্বারে
আত্মসার শূন্য উদ্দেশ্যহীন তাদেরও জীবন সংসার।


বেশ তো, আমিও বড় হব চড়াই-উৎরাই পার
লিখতে শিখবো পড়তে শিখবো এসব ঘটনার ব্যাখ্যা
সেদিন হয়তো কান্না পাবে সোহাগ বঞ্চণার দেশে
ছোট মানুষের ছোট আবদার পুরণের থাকে না সখা।


রমরমা পুঁজির ব্যবসা চলে, আমিও হব পন্য
আজ বাদে কাল উড়ে যাবে এত এত মৌমাছি,
মিলিয়ে নিও কিসে খোঁজ আর কার ভুঁড়িভোজ
তোমাদের দেয়া নাম ধরেই "আমি ফাতেমা বলছি।"


"সহমর্মিতার সংবেদন"


কলমেঃ রনি পারভেজ (#JD)
সময়কালঃ ০১-০৮-২০২২



কবিতাটির প্রসঙ্গেঃ গত ১৬ই জুলাই ২০২২, শনিবার ময়মনসিংহের ত্রিশালে এক ভয়াবহ ট্রাক দুর্ঘটনায় সে মায়ের পেট ফেটে ঐশ্বরিক ভাবেই বেঁচে থাকে। ওই ঘটনায় শিশুটির বাবা জাহাঙ্গীর আলম (৪২), মা রত্না বেগম (৩২) এবং বোন জান্নাত (০৬) ঘটনাস্থলেই নিহত হয়েছে। পরবর্তীতে শিশুটিকে নিয়ে দলাদলির বীভৎসতা থেকে কবিতাটি লেখা হয়েছে।