সবাই যখন চুপটি বসে,
ঠিকই সেজে নন্দলাল।
কেউবা তখন উল্টো পথে,
এরাই জাতির শেষ সম্বল।
  
এইটুকু প্রান ওষ্ঠাগত,
হলেই কি আর হবে ভারী।
ক্ষুধার জ্বালায় চলবে চাকা,
যেমন, চলছে তাবুত দুনিয়াদারি।

চলবে দু-হাত চলবে দু’পা,
তোমরা ঘরে যোগা করো!
দিন মজুরের ঘাম ঝরিয়ে ,
তোমরা বসে উদর পুরো।

যেদিন কৃষক ক্লান্ত হবে,
ফসল মাঠে না ফলাবে।
ওদের হাড়ে ঘাস গজালে,
তোমার কি আর রইবে বাকি।
                
ফন্দি-ফিকির  জানা সবই,
কেউবা সুখে হচ্ছে কবি।
আনন্দে কেউ বৈরাগী,
সঙ সেজে কেউ ঢঙ ধরো।
  
কেউবা আবার মহান নেতা,
পা ফেললে ই করবে হানা।
কেউবা করে তাল বাহানা,
ঝোপ বুঝে সব কোপ মারো।

বলি,
এবার তো নয় গেছো বেঁচে,
কাল যদি হয় ঘুর্ণিঝড়ও।
তখন ঐ
উল্টো পথের মানুষ গুলো,
সোজা পথে ফিরলে পরে।
ও পথ যদি ধুলোয় ভরে,
কেউ না মাড়ায় ইচ্ছে করে।
তবে,
আর ক'টা দিন সবুর করো,
আরও ক'টা দিন সবুর করো।।

উল্টো করে সোজা আঙুল
ঘি ওঠানোয় অভ্যাস্তরা।
শতরঞ্জের চালের দানে
ব্যস্ত যত সভ্য সমাজ,
কোমর বাধার সময় যে আজ।
নয়ত,
উল্টো এবার সোজা হলে..
ভদ্র সভ্য বনে গেলে…!


সে...দিন-দুনিয়া গোল্লায় গেলে,
যাচ্ছে যাক না বাজুক বারো।
তখন,
টেক্কা বিবি গোলাম হতেই-
( তোমরা ) বিশ্বটাকে উদ্ধার কোরো।।
-- / --