প্রাণের কবি বিশ্বকবি তুমি
এ শুভলগনে করিলে ভুবন আলোকময়
তোমায় বন্দিতে দিকে দিকে
আজিকে খুশির দোলা বয়।
অর্ধশতাব্দী বিতিয়া গেল তব মৃত্যুর পারে
চিরজাগ্রত আজিকে ও তুমি বিশ্বের দরবারে।


বৈশাখি আগমনে চিত্তে যেন
তব জয়ন্তী লহরী বাজে
শিশু কিশোরী সাজিয়েছে
আজি নয়নাভিরাম সাজে।
কেউ বা সেজেছে বাউলিয়া আজি
কেউ বা চণ্ডালিকা
সবাকার হৃদে যেন আজিকে
জ্বলিছে আনন্দ শিখা।


রবীন্দ্র আবৃত্তিগীতি নৃত্যে
ভুবন মাতিয়া রয়
কর্ণে যেন অহরহ তারি
সুর মূর্ছনা বয়
কবি বন্দনার মাঝারে বিশ্ব
আজিকে তীর্থধাম
একাগ্র হৃদে আজিকে সবে
শ্রীচরণে জানায় মনস্কাম।


ছোটগল্প উপন্যাসের জুড়ি মেলা ভার
রচিয়াছেন সাহিত্য রসেরা সম্ভার
শিশু কালের প্রথম বুলি
সহজ পাঠের ছড়া
বার্ধক্যে ও যায় না ভোলা
এতই মধু ভরা।
ধর্মীয়উন্মাদনা দাঙ্গা বিভেদ
সুরঝংকারে তাঁর সবের চির লয়
বেদন আর বিষাদ বেলায়
কবিতা পাঠে প্রানে খুশির ধারা বয়
দিশেহারা পথিক পথ নাহি পায়
জীবন তরণী বহিবারে
অমর গাথা রচিয়াছেন তিনি
যেন সবাকার তরে।
নোবেল বিজয়ী বিশ্বকবি
সাহিত্যের সেরা সম্মান
নাইট উপাধি ত্যাজিয়া কবি
দিয়াছেন  দেশমাতার প্রতিদান
বিরহে প্রেমে পুজো অর্চনায়
তাঁর ই গীতি সুধা গেয়ে
তৃষিত চিত্ত তৃপ্ত আজিকে
ধরাধামে তারে পেয়ে।


তব মহিমা দেশবাসি আজি
নাহি ভুলিবারে পারে
করজোড়ে তব প্রণতি জানায়
শত সহস্র বারে।


এ শুভ ক্ষণে আজিকে
কেমনে অজ্ঞলি দিনু
হৃদয়ের গাঁথা কথামালা
শ্রীচরণে সমর্পিনু।
হে গুরুদেব! বিশ্বকবি
আজি বিনম্র চিত্তে
শ্রীচরণে তব প্রণমি শতসহস্র বারে
তব আশিষ মাখা গীতি সুধা লয়ে
জীবন তরণী যেন বয়ে যায় সেই ভব পারে।