এখনো বসন্ত নেই নি বিদায় বাকি আছে কটা দিন...
ও কোকিলা এত কি দুঃখ যে তোর ডাক শুনি মলিন ,
সকাল সাঁঝে সেই উদাত্ত ডাকে মন হত আনমনা...
শেষের বেলাতে বেদনাতুর ডাক ধরা ধরা গলাখানা ।


সঙ্গীহারা সুরটা কেবল প্রতিধ্বনিত কানের মাঝে...
এমনতর উদাস মনেতে তোর ডাকাডাকি নাহি সাজে ,
স্বাধীন তুই মুক্তমনা সোনার খাঁচাতে নোস বন্দী...
মন আনমনা উদাস ডাক !!এঁটেছেস কি কোনো ফন্দি..!!


পিকরাণী কি করেছে আড়ি বসন্ত বিদায়ের ক্ষণে...
সব খোয়ানোর ব্যথা বাজে কানে কুহুরবে আনমনে ,
অশোক-পলাশের ঝরা পাপড়ি তরুতলে থাকে পরে...
শিমুলের সেই জৌলুস নেই ফল হয়ে আছে গাছে ধরে ।


কিবা হল তাতে মালতী-মাধবী সকালসাঁঝে তো ফোটেই...
গন্ধরাজ সুবাস বিলোয় প্রকৃতিটাকে ভালোবেসেই ,
কামিনীফুলও মিঠে গন্ধ ছাড়ে মাদকতা মনে প্রাণে...
টগর চামেলী সাদারঙ ঢেলে দু'নয়নে আবেশ আনে ।


ভ্রমর অলি এখনো ওড়ে ফুলে ফুলে যায় ডানা ছুঁয়ে...
জলফড়িংটা উড়ে এসে বসে ভীষণ ক্লান্ত হয়ে ,
ঋতুবিদায়ী ক্ষণেও তারা হাবেভাবে থাকে প্রসন্ন...
সর্বহারা তুই তো নোস্ !! কুহুস্বরটা কেন বিষন্ন...!!


ওরে পিক শোন এমন করে বিষাদের ডাক ডাকিস্ না...
উচাটন মন কেবলি উতলা শুধুই হয় আনমনা ,
বসন্ত যে নিচ্ছে বিদায় হাড়ে হাড়ে তা তো টের পাই...
প্রখর তাপ ,তীব্র দহন এখনি ছাড়খাড় করে যায় ।


যেদিন যায় ফেরে না তো কভূ নবপথ পানে চেয়ে থাকা...
অতীতের যা দুঃখ সব ভুলে সুখটুকুকেই তুলে রাখা ,
আসবে আবারও ফাগুন-চৈত্র বসন্তের হাত ধরে...
ওরে সেই আনন্দে থাক না মেতে আমাদের মত করে ॥


৬|৪|১৯