ঐ কুহু ডাকে সহকার শাখে মন ভরে যায় বেশতো
(আহা)কি খুশীখুশী ভাবটা মনে,রয়েছে বসন্তের রেশতো ,
বড় ভালো হত সমবৎসর মধুমাস যদি বা থাকতো
শীত শীত ভাব মিলেমিশে ঋতু সুখে আমাদের রাখতো ।


বনে যেই লাগে পলাশের রঙ রাঙা হয়ে ওঠে বনটা
অন্তরে বেশ প্রেম প্রেম ভাব আনন্দে মেতেছে মনটা ,
শিরশির বায়ু কদাপি বয় কখনো তা জোরে জোরে
চেয়ে চেয়ে দেখি চারিদিকটাই মনে খুশী যায় ভরে ।


কপোত কপোতী বসে মুখোমুখি শেষতো হয় না কথা
উগরিয়ে দেয় পেটের খবর বক বক করে অযথা ,
ওরে চেয়ে দেখ চারিপাশটাতে প্রকৃতিতে লেগেছে রঙ
গাছগুলো সব সেজেছে সুন্দর কি ভিন্নভিন্ন তার ঢঙ ।


সাজুনী ধরিত্রী সেজেছে সুন্দর বিছিয়ে ফুলের আঁচলা
কোটীতে তার কোমরবন্ধনী বেঁধেছে সজিনার কাঁচলা ,
শিমুল ফুলের মুকুট মাথাতে পলাশে সাজানো কবরী
অরুণ আলোর সোনালী ছোঁয়া অপেক্ষায় আছে শবরী ।


পাখির কূজনে প্রভাতের গানে মেতে ওঠে চারিদিকটা
উদাসী মনের ভাবুক বাউল চেয়ে দেখে দশ দিকটা ,
একতারা হাতে মেঠো পথে হাঁটে গাহে জীবনের গান
এরকম ভাবেই কেটে যাক দিন ভরে থাক মন প্রাণ ॥