শীতের রৌদ্র পিঠে নিয়ে
   বড়ি দিলাম লাইন দিয়ে ,
      কলাই ডাল শিলে বেঁটে
         চাঁচি কুমড়ো সঙ্গে ঘেঁটে ।
            হিং দিতেও ভুল করিনি
                স্বাদটি বাড়ে দিলে জানি ,
                   আচ্ছা করে ফেঁটিয়ে নিয়ে
                       বাটির জলে একটু দিয়ে ।
উঠলো যেই জলে ভেসে
   দিতে থাকি গায়ে ঘেষে ,
      প্রথম বড়ি বরের সাজে
         তুলসী মঞ্জরী মাথে সাজে ।
            দ্বিতীয় হলো কনে বউটি
                দূর্বা সিঁদুরের টিপ কাটি ,
                   বর কণেকে ঘিরে ধ'রে
                      কেউবা আগে কেউবা পরে ।
ডাঁয়ে বাঁয়ে আত্মীয় স্বজন
   গুনগুনানী মধুপ কুজন ,
      রোদ উঠেছে ভালোই বেশ
          বড়ি দেওয়াটাও হল শেষ ।
             মেঘলা যদি হয় আকাশে
                 চিন্তাতেও মেঘেরা ভাসে ,
                    চড়া রোদে যদি শুকোয়
                       সফেদ বড়ির স্বাদও ভালোই ।
মেঘলা অথবা কুয়াশা এলে
   টকশা স্বাদ বড়িটা খেলে ,
     আচার নিয়ম সব মেনে
        বড়ি দিলাম গুনগুনিয়ে ।
            নাক হয়নি আমার মতো
               টিকালো নেকো বড়ি যতো ,
                  কেনা বড়িতে চালের গুঁড়ো
                     একটু চাপেই ঝুরো ঝুরো ।
কষ্ট একটু হয়তো বটে
  কোন্ কাজে সুখ এ তটে !!
     প্রতিটা গ্রাসেই বড়ি মুখে
        ভাতটি খাওয়া মহাসুখে ।
           ঝোলে খাও রসাও খাও
              শাক সুক্তুনীতে তাও দাও ,
                 বড়ি পোস্তও ভালো খেতে
                    বর্ষার রসদ বড়ি কৌটোতে ॥