হঠাৎই শোনা কড়কড় রবে মেঘেদের গুরুগুরু...
জানালায় মুখ বাড়িয়ে দেখি...কালবোশেখী হল শুরু ,
প্রচন্ড ঝড় ,গাছ তোলপাড় ,পাগলের মত নড়ে...
সাথে সাথেই দেখি বৃষ্টিটাও...মুষলধারেই পড়ে ।


ও প্রকৃতি মাতা বুঝলে কি করে ..মেয়ের মনের কথা...!!
বুকে চাপাকষ্ট...অন্তরে তার...ভীষণ হয় ব্যথা ,
মনে হয় গর্জে ওঠে মাঝেসাঝে...মেঘের মতই করে...
চোখের আগুনে পুড়েই যাক সব..যেমন বাজে পোড়ে ।


পরক্ষণে ভাবে বৃথা আস্ফালন....সম্ভব নয়...
নারী তুমি স্ত্রী তুমি মাতা তুমি কাদের দেখাবে ভয় ,
প্রবল বরিষণ বাইরে ঝরে মেঘে মেঘে পরিচয়...
চোখে জল ফেলা বদ্ধজীবন...এ তোমার পরাজয় ।


সমাজের বেড়ি ,লজ্জাশৃঙ্খল ,বাঁধা যে তোর পায়ে...
কর্তব্য আর স্নেহের আবেগে মন তোর আছে ছেয়ে ,
পারবি কি ভাবে ছিন্ন করতে সাহস আছে কি তোর..!!
সে চেতনা তোর আসবে না কভূ...রাত কেটে হবে ভোর ।


নিজেকে চেনার সময়টা কোথায় !! হারানো ছেলেবেলা...
চোখ ভরা কত স্বপ্ন আঁকা...যখন কিশোরীবেলা ,
সময় গতে রয়বি চেয়ে...যৌবন হয়েছে নিঃশেষ...
বুড়ি থুড়থুড়ি লাঠি নিয়ে চলা..চিতার অনলে শেষ ॥


***২২|৩|১৯***