হঠাৎ করে আনমনা হয়ে পড়া...
গন্ড বেয়ে নামে অজান্তে অশ্রুধারা ,
মানসিক যন্ত্রণা নিয়ে দিনাতিপাত...
বিষয় নিয়ে কষাকষি ভ্রাতৃবিবাদ ।


লক্ষ লক্ষ টাকার গদিতে উপবেশন...
পিতামাতার বুক ভরা দীর্ঘশ্বাসে দিনযাপন ,
হদিস্ কি পায় তাঁদের দুঃখ কোথায়...!!!
উনারা এখন সন্তানদের কাছে বড় দায় ।


চিকিৎসা খাতে এখন অনেক হয় ব্যয়...
হাফশূল ছাড়ে ..ভাবে প্রয়োজন নাই ,
কথায় বলে ভাগের মা গঙ্গা না পায়...
সত্যিই তাই হয় , যা লেখা পুঁথির পাতায়...!!!


হায় বিধাতা একি শুনি নিজ কানে...!!!
বিশ্বাস করতেও যে লাগে ভারী মানে ,
ন'মাস সাতদিন গর্ভে যাকে ধারণ...
আচার আচরণে ঘটে সব বিস্মরণ...!!


জন্মিল পরিপূর্ণ দেবশিশু স্বরূপ...
হা ঈশ্বর এ কি দেখি তাদের কুরূপ...!!!
স্নেহ মমতা মাখা সেই মাতৃ দৃষ্টি...
আঁচল দিয়ে আগলে রাখা গর্ভজসৃষ্টি ।


দিনরাত এক করে লালন পালন...
যেন না হয় এতটুকু পরিচর্যায় অযতন ,
শরীরের রক্ত জল করে সন্তান পালন...
যথার্থ শিক্ষায় শিক্ষিত করাতেই মনন ।


জ্বরজারি সর্দিকাশি যদি কখনো হয়...
রাত্রি জাগরণ পিতামাতার...নির্দ্বিধায় ,
অপলক দৃষ্টিতে পর্যবেক্ষন সদায়...
ঘুমালে যদি হয়...কোন মারাত্মক বিপর্যয় ।


এভাবেই বেড়ে ওঠা শৈশব থেকে যৌবন...
স্ত্রী-সন্তান এখন তাদের বেশী আপন ,
অনুক্ষণ একাগ্রতায় পরিবারের স্বার্থচিন্তা...
পিতামাতার...দিনযাপন নিয়ে দুঃশ্চিন্তা ।


মূর্তিমান ঈশ্বর ছাড়ি মৃন্ময়ীতে ভক্তি...
প্রকৃত ঈশ্বরে নেই কৃতজ্ঞতা...এক রত্তি...!!!
বলতে একটুও দ্বিধাবোধ হয় না মনে...!!
যাবেই তো চলে খরচা কেন অকারণে...!!!


অভিজ্ঞতার নেই কোন সীমা পরিসীমা...
অনেক দেখালে ঠাকুর , করো ওদের ক্ষমা ,
হিসাব লেখা থাকে বরাবর...না আছে বোধ...
পাপ পূণ্যের হিসাব তো এজন্মেই শোধ ॥


৩|১১|১৮