ও মা শোন ,আর পারছি না
            এরা কেবল দাঁড় করিয়ে রাখে ,
               চার ছেলেমেয়ের কান্না শুনে
                  দুগ্গা মায়ের অশ্রু চোখে ।
               আমিও তো দাঁড়িয়ে থাকি
           দেখতে সবাই আসছে যে...!!
        ভাবতে পারিস আমার কষ্ট !!
      দুটি পাইই দুরকম ভাঁজে ।
        অসুরটার কি খুব আরাম !!
            ঘাড় কাতিয়ে আমার দিকে---
               হাঁটু কোমরের বেহাল দশা
                  ত্রিশূল ঠেকানো ওর বুকে ।
               খুব সাবধান...নড়িস না রে
           যে যেমন আছিস তেমন থাক ,
       হাতের জিনিস তেমনি রাখিস
     বাহনগুলোও তেমন রাখ ।
      লাখে লাখে আসছে মানুষ
        ওদের মনে খুব আনন্দ ,
           জনস্রোতের ঢল নেমেছে
              করিস না ওদের নিরানন্দ ।
                সারাবছর তো ছাড়া গরু---
            বারণ তোদের মোটে করি না ,
        পাঁজি দেখে আসিস যখন
     তোদের তো কই বাঁধা দিই না !!
   এসে থেকে গিলছিস এমন
    দেখে শুনে আমি হচ্ছি হাঁ ,
        জানি না বাপু সময় মত
            ফিরতে পারবো কি স্বামীর গাঁ !!
               পেট যদি কুনকুনিয়ে ওঠে
                কোথাও কিন্তু যেতে পাবি না ,
             বুঝবি মাথার চুল খাড়া...
        সামালও তো দিতে পারবি না ।
     গণশা বেটার বড্ড লোভ
   সব খাবারে আগেই নজর !!
     কোন সময় না করিস না কেন
        দেখাসও না আপত্তি ওজর ।
            খুব শিগ্গির ধরবে সুগার
                সামলে খা রে...খা সামলে ,
              দৃষ্টি দিয়ে সব গিলবি পরে
           খাবার সাজানো সামনে থালে ।
        কেতো বেটার স্থির চাহনী
     লজ্জায় মাথা যাচ্ছে কেটে ,
   পলক তার পরছে নি গো
    মাতৃকূলের মেয়েদের দেখে...!!
       সরো তুই যাবি সাথে
          লক্ষ্মী এখন থাকবে কদিন ,
             কয়েকদিন বাদেই তোর পুজো
                ভরা পূর্ণিমায় কোজাগরীর দিন ।
             বাপটা তোদের শ্মশান বাসী
          তবুও তার গিন্নীকে চায় ,
      এসে গেছে নিতে আমাদের
   গঙ্গা ধারণ তার জটায় ।
  আজকে শোন মন্ত্রগুলো...
    বিষাদের তার আছে ছায়া ,
        ফিরতে হবে স্বামীর গৃহে
           কাটিয়ে পিতৃগৃহের মায়া ॥