নীলের ঘরে দিয়ে বাতি জল খাও গো পুণ্যবতী...
ছোট থেকে দেখে আসা মা ঠাম্মাদের এই নীতি...
নির্জলা উপবাস ঠোঁট শুকিয়ে কাঠ...
কোঠরাগত চক্ষু------ব্রতকথা পাঠ...
দিনান্তে জল ঢেলে নীলের ঘরে দিতেন জ্বেলে বাতি...
কায় মনোবাক্যে প্রার্থনা ভালো থাকে যেন সন্তান সন্ততি ।


কত্ত কঠিন সাধনা ছিল সেসব নিজের চোখেই দেখা...
জানা তো নেই সন্তানের ভালে বিধাতার কি লেখা...
পট্টবস্ত্র পরিধান , হলে পরে নাওয়া...
পূজার বাটা হাতে নিয়ে মন্দিরে যাওয়া...
প্রখর রৌদ্র দগ্ধ দহন ঘর্মাক্ত কলেবরে ঠাঁই দাঁড়ানো...
একে একে মন্দিরের গর্ভগৃহে গুটি গুটি পা বাড়ানো ।


অভুক্ত শরীর অবসন্ন দেহ ক্লান্তি শরীরে ও মনে...
তবুও কত কথা বিনিময় পাড়াপড়শী জা-দের সনে...
ঠিক ততক্ষণ পায় না কোন পিপাসা...
লাইনে দাঁড়িয়ে জল ঢালার ঐ এক আশা...
বাড়ি ফিরতেই দেখি তৃষ্ণা এক বুক...চোখেমুখে ভর্তি...
নূনচিনির জল সরবত আকণ্ঠ পান অসীম পরিতৃপ্তি ।


এখন নিয়ম অনেক শিথিল শাশুড়ীমা এর দৌলতে...
বারণ তার খুব আন্তরিক অতক্ষণ উপোস না করতে...
দুপুরবেলা জ্বেলে দিলাম ঘরের শিবে বাতি...
ছেলেমেয়ের তরে করলাম ঐকান্তিক মিনতি...
ময়দাজাত খেতেই হবে ভাত খাওয়াতে কঠোর বারণ...
কিচ্ছু তাতে যায় আসে না করলাম ক্ষিদে নিবারণ ।


সংগঠনের কাজে বেড়িয়ে পরা হাওড়ার ডোমজুড়ে...
মিটিং শেষে তিন যান পাল্টে নটাতে এলাম বাড়ি ফিরে...
ঝোড়োহাওয়া প্রবল ওঠে ধূলা উড়িয়ে...
এমন করে দিনটা আজ গেল ফুরিয়ে...
লিখে দিলাম কয়েক কলম নীলষষ্ঠীর পোষ্টে...
ভাবনাগুলো বড্ড জটিল সমাপন করা কষ্টে সৃষ্টে ॥