আসছো মাগো বাপের বাড়ি
         ব্যস্ত দেখো সবাই ভারি ,
                    উৎসবের আমেজ দেদার
                             বাজার করার কি যে বাহার !!
                             পড়ছে মনে ছোট্টবেলা---
                    তখনও ছিল মেঘের ভেলা ,
         নীলাকাশের নীল দিগন্ত
দৃষ্টি হারায় আদি অন্ত ।
শরতরোদে কণকশোভা
         পুজোর গন্ধ মনলোভা ,
                   শিউলী কুড়ানো ভোরবেলা
                             বাসন্তী রাঙা মনটি ভোলা ।
                             বাঁশের বেড়ায় মুখটি গুঁজে
                   শিল্পীমনে শিল্প খোঁজে ,
         হাতুড়ি ঠুকে কাঠামো হল
খড় বেঁধে দেবীর গড়ন এলো ।
পড়লো তাতে মাটির প্রলেপ -
         তার উপরে দোমাটির লেপ ,
                  গঙ্গামৃত্তিকা দ্বিতীয় লেপন -
                             মুন্ডু বসানো করেই যতন ।
                             দেবীর এবার আঙুল হল
                   কুমোরকাকু হাতে গড়লো ,
          ফাটা মারতে ন্যাকড়া কাদা
প্রথম রঙ খড়ির সাদা ।
মা এর আমার স্বর্ণবরণ
         বাদবাকিদের একই ধরণ ,
                   লক্ষ্মী সর কেতো গণশা---
                            অসুরকে জড়ায় মামনসা ।
                            সিংহমামা বেজায় রেগে
                  একটা থাবা পেয়েই বাগে ,
         মহালয়ার পূণ্য লগনে---
চক্ষুদান তুলির টানে ।
বাহারী বস্ত্র রকমারী
         মাদুগ্গা পড়লো শাড়ি ,
                  আঠা দিয়ে চুল লাগানো
                            গয়নাগাটি সব পড়ানো ।
                             দশহাতে দশ অস্ত্র ধারণ
                  শক্তির প্রতিভূ গৌরীগড়ন ,
          ঢাকের বাদ্যি মন উতলা
এক জামাতে ষোলো বেলা ।
নাচতে নাচতে ঠাকুর তলা
        স্মৃতির পাতার অতীত ডালা ,
                  নারকেল নাড়ু আর নিম্কি
                            ছোট্টবেলাটা অদামী কি !!