আপন নাকি পর
জামাল উদ্দিন জীবন


জগত নামের ইস্টিশনে সবাই
ভবঘুরে  যাযাবর বানায়  ঘর।
আপন আপন ভাবছো যাদের
তারাই তোমায় করে দিবে পর।


পিতা মাতার আপন আদরের সন্তান।
সন্তানের কাছে প্রিয় তার পিতা মাতা
এটাই বুঝি  দুনিয়ার নিয়ম হয়েছে।
ভাঙ্গে গড়ে দিবানিশি কত স্বার্থের খেলা।


বিপদে বন্ধুকে চেনা যায় চড়ে গাছের ডালে
স্বার্থে  আঘাত লাগলে আপন জনকে চিনে।
তোমার সুখের কথা ভাবার নেই  যে অবসর
সকলে স্বার্থের কারণে নেয় নিজের কাছে টানি।


ভাই, বন্ধু বলো আদরের তোমার ছোট বোনটি,
সুযোগ বুঝে  শুনায় দেখায় মন মতন প্রতিচ্ছবি।
তোমাদের সুখ খুঁজে নিয়ে আছ মহা সুখের সমুদ্রে,
অন্যের সুখে কেন হও বাধা বুঝি না অজানা কারণ।


স্বার্থলোভী হিংসা করে কেউ সুখি হয় না ভুবন মাঝে
অন্যের জন্য কাটিলে কুয়া বড় করে সেই আগে পড়ে।
অন্যেকে বিপদে ফেলে অট্র হাসিতে হয়ে মাতোয়ারা
সময়ের ব্যবধানে আসবে ঘুরে সেদিন বুঝে জ্ঞানীরা।


অন্যের কাজে সফলতায় জ্বলে পুড়ে হয় মর্মাহত তারা।
হিংসা অহংকার তারাই করে অন্যকে যারা করতে ব্যর্থ।
আপন জনেরা বড় বাধা হয়ে দাড়ায় করিতে ইচ্ছের কর্ম
দ্বিধা দ্বন্দ্ব  হয় সংঘাত বন্ধন ছিন্ন করে আপনালয় গড়ে।


সকলের কাছে তখনি সন্তান ভাই হয়ে যায় খারাপ মানুষ
স্বরুপ চিত্র খানি দেখি অপলক নয়নে ভাবনি তুমি মনে।
দুঃখ কষ্টে রাগে ঘৃনায় নিজেকে নগন্য মনে হয় ধরণীতে
কাদের জন্য খেটে মরলাম তারা দিলো মূল্যবান প্রতিদান।


এটাই ছিলো পাওনা দিলে ব্যথার পাহাড় দিলে উপহার
বুঝিনি আমি নিজের বুঝটা সবার আগেই বুঝে  নিতে হয়
দেরি হলেও হয়েছে নতুন সূর্য্য উদয় জীবনের চারি পাশে
ভেবে দেখো আপন না পর ছিলাম রক্তের সম্পর্কের মাঝে।